[বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে তোমরা মহাকাশের উপাসনা করে তার মতোই উদার হও।]
তোমাদের দেহে যে তেজ বা অগ্নি আছে তার উপাসনা
করার কথা বলা হয়েছে বেদ যজ্ঞে। সেই তেজ অপেক্ষা আকাশ শ্রেষ্ঠ। কারণ তেজের সৃষ্টি আকাশ
থেকে। এই আকাশ-ই ধরে রেখেছে পঞ্চভূতকে। মানবদেহ আকাশ ছাড়া
এক মুহূর্ত টিকে থাকতে পারে না। তার সমস্ত শক্তির উৎস এই আকাশ। যিনি এই তত্ত্ব
জেনে মহাকাশের উপাসনা করেন তিনি-ই শ্রেষ্ঠ। এই রহস্য যে সাধক জেনে সাধনা করে তার
হৃদয়- বেদ উন্মোচন করতে সময় লাগে না। মনে রাখতে হবে ঈশ্বর সর্বভূতে নিজের ঈশ্বরত্ব
শক্তি নিয়ে অবস্থান করছেন—তার শক্তির লীলা খেলা তিনিই দেখে চলেছেন তাঁর মাধ্যম
দিয়ে—নিজের শক্তি সবায়কে যোগান দিয়ে। তাই নিজেকে বাদ দিয়ে আলাদা ভাবে—বা তার
জীবন্ত শক্তিকে বাদ দিয়ে আলাদাভাবে তাঁকে খোঁজার অর্থ ভস্মে ঘি ঢালা ছাড়া আর কিছু
নয়। যারা জীবকে বাদ দিয়ে শিবকে খোঁজ করে তারা পণ্ডশ্রম করে শিবের মাথায় জল ঢেলে।
শিব হচ্ছেন সেই মহাকাশ যিনি সবার হৃদয় মন্দিরে উদার হয়ে অবস্থান করছেন—তাই তো আকাশ
গঙ্গা- পাতাল গঙ্গা এই শিবের জটা থেকে উৎপন্ন হয়ে অহরহ জল ঢেলে চলেছেন তাঁর মাথায়।
মহাকাশ- আকাশ- পাতাল জুড়ে যে বেদ যজ্ঞ চলছে তা মুহূর্তের জন্যে বন্ধ হলে মহাপ্রলয়
ঘটে যাবে—তা যেন আমরা ভুলে না যাই। ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি।