[ বেদ যজ্ঞ করলে কেউ আশ্রয়হীন অবস্থায় থাকবে না]
তোমরা তো ভবসাগরে সাঁতার কাটছো আশ্রয়হীন অবস্থায়—কেউ
কেউ অপেক্ষা করছো তরীর আশায়। যারা সাঁতার কাটছো তারা তীরে এসে কীভাবে তরীতে উঠবে।
মাঝ সাগরে তো কেউ তোমরা এই তরীতে উঠতে পারবেনা। এই ভবসাগরে কখন ঝড় উঠবে তা তোমরা
জান না—সব উত্থাল পাতাল হয়ে যাবে। কোনো আশ্রয় পাবেনা নিজেকে বাঁচাবার। এখনো সময়
আছে ঝড় আসার আগে সাঁতার কাঁটা বন্ধ করে তীরে ফিরে এসো। খুব শীঘ্র তোমাদের কাছে
আশ্রয় স্বরূপ বিশ্বমানব শিক্ষা জ্ঞানতরী যাচ্ছে—তাড়াতাড়ি সেই তরীতে উঠে পড়ো। সঙ্গে
যা কিছু আবর্জনার বোঝা আছে তা ঝেড়ে ফেলে হাল্কা হয়ে যাও, তাহলে কোনো ভয় বা চিন্তা
থাকবেনা। একমাত্র এই জ্ঞানতরীকেই পরমপিতা পাঠিয়েছেন বিশ্বের সকল মানুষের আশ্রয়
করে। তোমরা আজ পর্যন্ত কোনো আশ্রয় পাওনি- ইহলোকে ও পরলোকের জন্যে। যেগুলিকে তোমরা
আশ্রয় ভাবছো একটাও টিকবেনা ঝড় উঠলে। সব কোথায় উড়ে পালাবে ধুলি ধুসর হয়ে অন্ধকারের
মধ্যে কিছুই বুঝতে পারবেনা। একমাত্র বিশ্বমানব শিক্ষা জ্ঞানতরীতে দিনের আলোর ন্যায়
আলো জ্বলবে অতি উজ্জ্বল প্রভায়। বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মীরা নিজ নিজ ঘরে মহানন্দে
অবস্থান করবে এই জ্ঞানতরীতে মহাপ্রলয় কালে। বাকিরা সবাই তাদের চোখের সামনে তলিয়ে
যাবে সাগরের জলে অথবা মাটির তলে। আঠারো ঘণ্টাতেই সারা বিশ্ব তোলপাড় করে দেবে এই
মহাযুদ্ধ। বিশ্বের প্রতিটি মানুষের কাছে বিশ্বমানব শিক্ষা জ্ঞানতরীর সুসংবাদ পৌঁছে
যাবে তড়িৎ গতিতে। তারপরে শুরু হবে বাছাই পর্ব। বাছাই পর্ব শেষ হলেই শিঙ্গাই ফুঁ দেবেন
পরমপিতা। সাথে সাথে বিশ্বজুড়ে শুরু হবে মহাযুদ্ধ। এই মহাযুদ্ধে সকলকে অংশগ্রহণ
করতেই হবে। কেউ অংশগ্রহন করবে জ্ঞানতরীতে চেপে, কেউ গাধার পিঠে চেপে। যারা
জ্ঞানতরীতে চেপে মহাযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করবে তাদের দিকে থাকবেন স্বয়ং ঈশ্বর আর
বিপরীত দিকে থাকবে শয়তানের রাজা যে মহাপ্রলয়কে ডেকে এনেছে ধ্বংসের জন্যে। বেদ যজ্ঞ করে এই মহাসত্যকে আগে জেনে নাও তাহলে আর মনে কোন দ্বিধা- দ্বন্দ্ব
আসবে না – সবকিছুই তোমরা দেখতে পাবে এই বেদের আলোর জগত থেকে।