বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—৩০/ ০৫/ ২০১৬
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ শুরু করলেই অতি সহজেই শত্রুকে দমন করে সবার মন জয় করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবে।]
বেদ যজ্ঞ করার সময় নিজেকে কর্মকর্তা ভেবে
কোন কাজ করবে না তাহলেই দেহ- মনে কোন ক্লান্তি আসবে না এবং কারো প্রতি ঈর্ষা জন্মাবে না। ঈশ্বরের কাজ ভেবে তাঁকেই
কর্মকর্তা করে নিয়ে কেবল তাঁকেই সন্তুষ্ট করার জন্য কাজ করবে।। তাঁর কাজ- কর্ম তোমরা বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে পবিত্র মন নিয়ে করবে।
কেবল তাঁর সন্তুষ্টির পথেই তোমরা নিজেকে ধরে রাখবে এবং সকলের মঙ্গলের জন্য বেদ যজ্ঞ করবে। নিজ স্বার্থের কথা সম্পূর্ণ ভুলে যাবে তাহলেই দেখবে ক্লান্তি- অবসাদ আসবে না
কভু তোমাদের জীবনকে ঘিরে। সদায় থাকবে তোমরা তোমাদের অন্তরের দেবতার স্মরণে এবং শিশু ভোলানাথ হয়ে সংসারে কাজ করবে
নিজের নির্মল জ্ঞান – বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে । সকলকে বড় করে সকলের আদর
নিবে ও কখনো নিজের জ্ঞানের অহংকার কাউকে দেখাতে যাবে না। কারণ তোমার
এখানে কোন ক্ষমতা নেই কোন কিছু নুতনভাবে সৃষ্টি করার। কে পারবে বলো সাগর ও পর্বত
সৃষ্টি করতে? তাহলে কিসের অহংকার দেখাতে যাবে? এই কথা চিন্তা করে কোন প্রশংসা পাবার লোভে কাজ
করবে না তাহলেই দেখবে কোন অহংকার তোমাকে স্পর্শ করতে পারবে না। সকল সম্পদের স্রষ্টা ও মালিক তোমার ঈশ্বরকে জানবে এবং মিথ্যা সম্পদের মালিক হতে যাবে না সাময়িক
কালের জন্য এখানে বেদ যজ্ঞ করতে এসে। তিনি যা দিয়েছেন
তাতেই সন্তুষ্ট থাকবে এবং অপরের সম্পদের
প্রতি লোভ করতে যাবে না কারণ সেই সম্পদগুলিও ঈশ্বরের সম্পদ জেনে সন্তুষ্ট থাকবে। অপরের দান কখনো নিজের
সুখের জন্য গ্রহন করবে না এবং কারো কাছে কিছু কখনো চাইতে যাবে না তোমাদের
জীবনের চাকচিক্যতা বাড়াবার জন্য। যা প্রয়োজন তা কেবল
ঈশ্বরকে জানাবে এবং বেদ যজ্ঞ করেই তাঁর পথেই কেবল যা চাইবার
চাইবে তাঁর কাছেই। তিনি ইচ্ছা করলেই তোমাদের সবকিছু দিয়েই সাহায্য করবেন। তাঁর
সাহায্য না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে এবং তাঁর উপরই নির্ভরশীল হয়ে বেদ যজ্ঞ করে
যাবে সৎ প্রতিজ্ঞাকে অন্তরে ধারণ করে। কখনও কুবাক্য মুখে আনবে না ও জ্ঞান- বুদ্ধির জাগরণ ঘটিয়ে সর্বদায় চলবে এই কর্মভূমি
ও জ্ঞানপীঠে বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে। তাহলেই দেখবে সহজ- সরল পথে সবকিছুর
সমাধান হয়ে যাবে জীবনে চলার পথে। বেদ
যজ্ঞ কালে ঈশ্বরের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রেখে কথা বলবে এবং সকলের সাথে সদ্ব্যবহার অবশ্যই করবে তাহলেই দেখবে
তোমাদের জীবন থেকে পুরানো অভ্যাসগুলি সরে গিয়ে সবরকম নূতন অভ্যাস স্বাভাবিকভাবে
গড়ে উঠবে। কিন্তু তোমাদের অন্তরের ঈশ্বর ছাড়া অন্য কাউকে
বন্ধু বানাতে যাবে না – সবার সাথেই মেলা-মেশা করবে কারণ সবার
অন্তরেই এক ঈশ্বর বাস করছেন তা জেনে কিন্তু কখনো বেদযজ্ঞ বিহীন মানুষের উপদেশ
গ্রহণ করে পথভ্রষ্ট হতে যাবে না। তোমাদের বেদ যজ্ঞের পথ সবার জন্য খোলা রাজপথ কিন্তু
বেদযজ্ঞ বিহীন মানুষের পথ এক একটা সঙ্কীর্ণ গলি – তাই সেই গলি দিয়ে চলতে গেলে
তোমাদের দম বন্ধ হয়ে যাবে। তাই জীবনতরীকে কখনো সঙ্কীর্ণ গলির পথে নিয়ে যাবে না
তাহলেই কোথাও আবদ্ধ হয়ে থাকবে না। জয় বেদ যজ্ঞের জয়।