[ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে
বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে ঈশ্বরের পথে ধর্মযুদ্ধ না করলে কেউ সত্যকে উপলব্ধি করতে পারে না।]
বেদ
যজ্ঞ করেই মানুষকে নিজের জীবন বেদ জানতে হয়।
নিজের জীবনের সত্যকে জানতে হয় নিজের জীবন বেদের সত্য দিয়ে। তাই সত্যের প্রতি বিশ্বাস রেখে যারা সত্যের সাধনা
করে তারাই সত্যকে উপলব্ধি করতে পারে। সত্য কেউ সৃষ্টি করতে পারে না আবার সত্যকে
কেউ ধ্বংসও করতে পারে না। সত্য আছে, সত্য ছিল, সত্য থাকবে। মিথ্যার অস্তিত্ব নেই,
ছিল না ও থাকবে না।সাময়িকভাবে সত্যকে ঢাকা দিয়ে মিথ্যা জেগে ওঠে, আবার কালের কবলে বিনাশ
হয়। স্রষ্টা বা ঈশ্বর না থাকলে কে মহাশূন্যের উপর এত বিশাল সৃষ্টি করে রেখেছেন? যে
সৃষ্টির কোনো আরম্ভ স্থল ও শেষ স্থল নেই মহাকাশের বুকে। যদি আমি না থাকতাম তবে কে এই
মহাশূন্যে গ্রহ-উপগ্রহ-নক্ষত্ররাজিকে সাজিয়ে ধরে রাখতো? আমি যদি না থাকতাম তবে কেন
তোমরা আমার নির্দেশ মানছো?আমি যদি না থাকি তবে কি তোমাদের মহাশূন্যের কোথাও
অস্তিত্ব থাকবে? আমিই হলাম সকলের স্রষ্টা- ঈশ্বর- আল্লা- গড ও সর্বশক্তিমান পরমপিতা। আমার পথে সংগ্রাম না করলে আমাকে জানবে কী প্রকারে? আমি ছাড়া দ্বিতীয় সত্য পাবে কোথায়? আমিই সকল জীবের আত্মা—আমি সর্বভূতে আত্মা
রূপে অবস্থান করি। আমাকে জেনে যে নিজেকে আত্মা রূপে জানে সেই আমার জ্ঞান-বিজ্ঞানের
ঘরে বসে সাধনা করে সত্যকে জানতে সক্ষম হয়। যে যেভাবে আমাকে দেখতে চায়, আমি তাকে
সেই রূপ প্রদান করে দেখা দিই। আমার পথে ধর্মযুদ্ধ না করলে কেউ আমাকে দেখতে পায়না ও
সত্যকে উপলব্ধি করতে পারেনা। আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি পৃথিবীর বুকে বিশ্বমানব
শিক্ষার কর্মী রূপে আমাকে জানার জন্যে ও আমার সৃষ্টিকে সুন্দর দিয়ে ঘর সাজিয়ে
রাখার জন্যে। কোনো কিছুকে ধ্বংস করার জন্য নয়। মানুষ নিজের জ্ঞান হারিয়ে আমাকে
ভুলে গেছে—তারা বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী না হয়ে জড়বুদ্ধির দাস হয়ে পড়েছে। আমার
দাসত্ব না করে সুখ-সম্পদের দাসত্ব করছে। মানুষের সাথে আমার যে চুক্তি ছিল—সেই
চুক্তির পথ ধরে চলতে তারা ভুলে গেছে—শয়তানি বুদ্ধির কবলে পড়ে। বেদ যজ্ঞ না করে যারা এই জগতের সুখ-সম্পদ –জন্মমৃত্যুর দাসত্ব করে তারা কখনো সত্যকে উপলব্ধি করে সত্যের পথে
স্থির থাকতে পারেনা। হরি ওঁ তৎ সৎ।