[ বেদ যজ্ঞ করে অসম্ভবকে সম্ভব করো তোমরা মনের জোরে]
অসম্ভব বলে মানুষের শক্তির কাছে কিছু নেই। মানুষ
ইচ্ছে করলেই অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে মনের জোরে। বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে তোমরা মনের জোর বাড়াতে
থাকো প্রতিদিন একটু একটু করে ভালো কাজ করার মাধ্যমে। দেখবে ভবিষ্যতে তোমরা মনের
জোরে অনেক বড়ো বড়ো কাজ অনায়াসে করতে পারবে। ভালো কাজ শুরু করাটাই কঠিন। শুরু করে দিলে সেই কাজ স্বাভাবিক নিয়মে বাধাবিঘ্ন পার
হয়ে এগিয়ে চলতে থাকবে। টাটা-বিড়লা—গোয়েংকা কেউ প্রথমে ভাবতে পারেনি তাদের ভবিষ্যৎ
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে। তারা ছোটো থেকেই এত বড়ো হয়েছে, অসম্ভবকে সম্ভব করতে
পেরেছে। তোমরা বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী কেন পারবে না অসম্ভবকে সম্ভব করতে? কেন
তোমরা তোমাদের শুভবার্তা বিশ্বের সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারবে না? তোমরা যে
কাজে হাত দিয়েছো তাতো বিশ্বের সকল মানুষের মঙ্গলজনক কাজ। একবার ইচ্ছা শক্তিকে
জাগ্রত করে মাঠে নামো, দেখবে বুদ্ধির দুয়ার খুলে যাবে ও দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে
বিশ্বজয়ের পথে। বাধাবিঘ্ন যত আসবে তত তাড়াতাড়ি এগোতে থাকবে প্রকৃতির নিয়মে। তোমরা
ভাবছো বিশ্বমানব শিক্ষা মঞ্চে টাকা আসবে কোথা থেকে? তোমরাই বিশ্বমানব শিক্ষার
সম্পদ তোমাদের সম্পদ দিয়েই টাকার পাহাড় জমে উঠবে। তোমরা কেবল তোমাদের
জ্ঞান-বুদ্ধিকে বিশ্বমানব শিক্ষা শিল্পে কাজে লাগাও। তোমাদের সংঘবদ্ধ শক্তি সমস্ত
প্রকার অসম্ভবকে সম্ভব করে বিশ্ববাসীকে পথ দেখাবে। তোমাদের কোনো কিছুর অভাব নেই –
কেবল অভাব পরিকল্পনা নিয়ে কাজে নেমে পড়ার উৎসাহের। তোমরা যখন কেবল নিজের কথা
চিন্তা করবে- নিজের প্রতিষ্ঠার কথা চিন্তা করবে, তখন তোমরা দুর্বল হয়ে শক্তিহীন হয়ে পড়বে, আর সবকিছু কাজকেই অসম্ভব বলে মনে হবে। আর যখন তোমরা
সংঘবদ্ধ হয়ে সকলের মঙ্গলের জন্যে কেবল পরিকল্পনা নেবে , তখন দেখবে সেটা
যতই অসম্ভব হোক তা অতি সহজে সম্ভব হয়ে উঠবে। মনে রাখবে যারা নিজের প্রতিষ্ঠার জন্যে বা নিজের নামের জন্যে লোককে
বিভিন্নভাবে সংঘবদ্ধ করে তারা কেউ কাম-ক্রোধ-লোভ-মোহ- মদ ও মাৎসর্যকে দমন করে
তাদের তামসিক ও রাজসিক বৃত্তিকে দমন বা ত্যাগ করে সাত্ত্বিক বৃত্তিতে নিজের মন-
বুদ্ধি- অহংকারকে স্থির রাখতে পারে না। তাই তারা নিজেরাও যেমন অশান্তির আগুনে
জ্বলে তেমনি তাদের অধীনস্থ জীবকেও সেই আগুনেই নিক্ষেপ করে। হরি ওঁ তৎ সৎ।