[ বেদ যজ্ঞ করে তোমরা ব্রাহ্মণ- ক্ষত্রিয়- বৈশ্য ও শূদ্র গুণ ও শক্তিকে
সঙ্ঘবদ্ধ করে ব্রহ্মশক্তি নিয়ে জেগে উঠো।]
তোমাদেরকে ঈশ্বর ব্রাহ্মণ- ক্ষত্রিয়- বৈশ্য ও
শূদ্রের গুণ ও শক্তি দিয়ে সকলকেই সৃষ্টি করেছেন। তিনি তোমাদের মুখে দিয়েছেন
ব্রাহ্মণের গুণ ও শক্তি, বাহুতে দিয়েছেন ক্ষত্রিয় গুণ ও শক্তি, ঊরুতে দিয়েছেন
বৈশ্যের গুণ ও শক্তি, এবং চরণে দিয়েছেন শূদ্রের গুণ ও শক্তি। এই চতুর্গুণ ও শক্তি
দিয়ে সকলকে নিজে পূর্ণ হয়ে পূর্ণ করেই সৃষ্টি করে চলেছেন। তোমাদের দৃষ্টি শক্তিকে
সূর্যের শক্তির সাথে যুক্ত করে দিয়েছেন বলেই তোমরা চোখ দিয়ে সবকিছু দেখতে পাচ্ছো
আলোর জগতে। তোমাদের মনকে তিনি চন্দ্রের সাথে যুক্ত করে সৃষ্টি করেছেন বলেই তোমরা
এই মনকে নিয়ে সৃষ্টি প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারছো নিজ নিজ চিন্তার মাধ্যমে।
তোমাদের শ্রবণ শক্তিকে তিনি বায়ুর সাথে যুক্ত করে দিয়েছেন বলেই তোমরা সবকিছু শুনতে
পাচ্ছো। তোমাদের মস্তকের মধ্যে তিনি বুদ্ধির এমন সুন্দর ও শক্তিশালী যন্ত্র স্থাপন
করে দিয়েছেন, যে তোমরা তোমাদের বুদ্ধিকে মহাকাশের স্বর্গ আদি সমস্ত গ্রহ
নক্ষত্রাদির সাথে যুক্ত করে তাদেরকে জানতে পারছো। তোমাদের দেহের নাভির সাথে পেটের
নাড়ি ভূরিকে এমনভাবে ক্ষিতি- অপ- মরুৎ- ব্যোম ও তেজের সাথে যুক্ত করে দিয়েছেন যে
তোমরা এই পৃথিবীর বুকে তাদের সহযোগীতা না চাইতেই পেয়ে চলেছো জীবন ধারণের জন্যে
স্বাধীনভাবে। তোমাদেরকে এই আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানের জ্ঞান অর্জন করতে হচ্ছে না কষ্ট
করে তবুও তোমরা এই বিজ্ঞানের সুফল সকলেই সমভাবে পেয়ে চলেছো তাঁর নিকট থেকে। এই
চিদানন্দময় নিত্যজ্ঞান হচ্ছে সনাতন ধর্মের জ্ঞান। এই আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানের জ্ঞান
নিয়েই মানুষকে ঈশ্বরের চতুর্গুণ ও শক্তি নিয়ে জেগে উঠে ব্রহ্মজ্ঞানী হতে হয়। তাই
তোমরা সত্যকে জানো- নিজের জীবনকে জানো- তোমরা সকলেই সনাতন সংসারবৃক্ষের বীজ থেকে
জন্ম নিচ্ছো শেষে সেই বৃক্ষের ফল রেখে যাচ্ছো এই পৃথিবীর বুকে সনাতন ধর্মকে আশ্রয়
করেই। হরি ওঁ তৎ সৎ।