Home » » বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে যত পারো মায়ার সভ্যতা গড়ে তোলো কিন্তু মায়ায় আবদ্ধ হয়ে থেকো না।

বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে যত পারো মায়ার সভ্যতা গড়ে তোলো কিন্তু মায়ায় আবদ্ধ হয়ে থেকো না।


[ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে যত পারো মায়ার সভ্যতা গড়ে তোলো কিন্তু মায়ায় আবদ্ধ হয়ে থেকো না।]
 এই জগত ঈশ্বর তাঁর সৃষ্ট মায়ার বিজ্ঞান দ্বারা চালাচ্ছেন। এই বিজ্ঞানের অধীনে থেকে মানুষ যুগে যুগে মায়ার সভ্যতা গড়ে তুলতে বাধ্য হচ্ছেন। আমরা মায়ায় আবদ্ধ হয়ে এই সভ্যতার পিছনে ছুটতে বাধ্য হচ্ছি। যত বড়ই শক্তিশালী জ্ঞানী-গুণী- মহান হন না কেনো এই মায়ার সভ্যতার আলো দেখে তাঁকে বিমোহিত হতেই হবেআমরা মুখে বলি যে আমরা এই সভ্যতার আলো থেকে মুক্ত- এই মায়ার সংসারের কোনকিছু আমাদেরকে স্পর্শ করতে পারে না, কারণ আমরা গৃহত্যাগী সন্ন্যাসী- যোগী- মুনি – ঋষি। বাস্তবে দেখা যাবে কেউ কিন্তু এই মায়ার বিজ্ঞানের আলোর সভ্যতা থেকে মুক্ত নন। আর এই সভ্যতার আলো থেকে মুক্ত না হতে পারলে কেউ কাম- ক্রোধ- লোভ- মোহ- মদ ও মাৎসর্যের কবল থেকে মুক্ত হতে পারেন না। তাই আমরা এই পৃথিবীর সভ্য মানুষদের বেশী করে দেখতে পাই এই মায়ার সভ্যতাকে নিয়ে মাতামাতি করতে ও সর্বদা এই সভ্যতাকে নিজেদের কবলে ধরে রাখার জন্যে হত্যা- হানাহানিতে লিপ্ত থাকতে। তাই মায়ার সভ্যতা মায়ার বিজ্ঞান দ্বারা যেমন গড়ে উঠে তেমন সেই বিজ্ঞানের দ্বারাই ধ্বংস হয়। এই মায়ার বিজ্ঞানের খেলা কবে শুরু হয়েছে ও কবে শেষ হবে তার হিসেব কেউ দিতে পারবে না। ঈশ্বর এই মায়ার বিজ্ঞানের আলো থেকে তাঁর সৃষ্টিকে ধরে রাখার জন্যে বীজ সংরক্ষিত করে রাখেন, এই বীজ মায়ার বিজ্ঞান ধ্বংস করতে পারে না, সাধারণ মানুষের চোখে সেই সব বীজ পড়ে না তাই তাদেরকে এই জাগতিক মায়ার বিজ্ঞান ধ্বংস করতে পারে না। এই সনাতন বীজ থেকেই আবার মায়ার বিজ্ঞান দ্বারা মানব সভ্যতার সৃষ্টি হয় সারা বিশ্ব জুড়ে। মানুষ মায়ায় আবদ্ধ হয়ে চাকচিক্যতার মোহে ডুবতে থাকে ও ধীরে ধীরে পুনঃ নিজের সনাতন ধর্মের কথা ভুলে গিয়ে মায়ার সভ্যতা গড়ে তুলে নিজেদের ধ্বংসকে ত্বরাম্বিত করার জন্যে। তাই এই পৃথিবীর বুকে সবায় মায়ার অধীন একমাত্র ব্রহ্মজ্ঞানী ছাড়া। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।

Facebook CommentsShowHide
Disqus CommentsLoadHide