[ বেদ যজ্ঞ করেই আদ্যাশক্তি মহাকালীর কৃপাধন্য মানুষ হতে পারেন।]
আদ্যাশক্তি মহাকালের কবলে পড়ে জগতের সবায়
বিভ্রান্ত। এখানে কেউ মহাসত্যকে জেনে মা মহাকালীর শরণাগত হয়ে তাঁর কৃপা লাভ করে
জীবন ধন্য করার জন্যে বেদ যজ্ঞের আশ্রয়ে অবস্থান করতে পারেন না। এই জগতের সব জীব
মায়ার বিজ্ঞান দ্বারা এমনভাবে আচ্ছন্ন যে নিজের জীবনের সত্যকে জানার চেষ্টা
পর্যন্ত করার সুযোগ পান না। সবায়কে এই মহাশক্তি বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে গ্রাস
করেন। তাই মানুষ ঈশ্বরের ক্ষুদ্ররূপ ও ছায়া স্বরূপ হয়েও কুচিন্তা- কুকর্ম থেকে
নিজেকে বিরত রাখতে সমর্থ নন। মানুষকে দেখা যায় এই জগতের বুকে পরমাত্মাকে ছেড়ে দিন
রাত শুধু জাগতিক ভোগের পিছনে ছুটতে। তাই মানুষের বুদ্ধি কখনো স্থির হতে পারে না এক
পরব্রহ্ম পরমাত্মায়। তাই দেখা যায় সবায় ওই মহাকালস্বরূপ পরমেশ্বেরের ভক্ষ্য হয়ে
বার বার জন্ম মৃত্যুর চক্রে ঘুরতে থাকেন। যাদের পরকাল বা পুনর্জন্মের প্রতি
বিশ্বাস নেই তারাই এই আদ্যাশক্তি মহাকালীর মায়ায় আবদ্ধ হয়ে এই জাগতিক ভোগের বাইরে
নিজের বুদ্ধিকে নিয়ে গিয়ে নির্মল করতে পারেন না। আজ মহাকালীর আরাধনা উৎসব। এই
উৎসবে মানুষ অন্ধকারকে দূরীভূত করে আলোর প্রদেশে যাবার জন্যে মায়ের শরণাপন্ন হন।
যারা পরমাত্মার অসীম কৃপাকে বিশ্বাস করেন তাঁরাই কেবল এই তত্ত্ব বুঝতে পারেন। ওঁ
শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।