বেদ যজ্ঞ
সম্মেলনঃ—১৪/ ১১/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোড়শালা* মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করে সৎ পথে কাজ
করলে সময় হলেই তা দশগুণ হয়ে প্রকাশ পায় ও সেই ধন শান্তির জগৎ রচনা করে।]
বেদ যজ্ঞ না করে এই পৃথিবীতে যারা অন্যায়ভাবে
গর্ব করে বেড়ায় তাঁরা সকলে অন্যায়পথে ধন উপার্জনের সাথে যুক্ত থাকে এবং অপরের
রুজির অংশ কেড়ে নিয়ে তা নিজের সম্পদ বলে দাবী করে। কেউ কোন সৎ কাজ করলে ঈশ্বরের
কথা অনুসারেই সে তার দশগুণ পাবে এবং অসৎ কোন কাজ করলে তাকে শুধু তারই প্রতিফল দেয়া
হবে। সৎ মানুষরা অত্যাচারিতও হবে না, যথা সময়ে সকলে তা দেখতে পাবে। আজকে ভারতের
প্রধান মন্ত্রী ভারতবাসীকে সৎকর্মশীল করার জন্য যে মহৌষধ সবার জীবনের ক্ষেত্রে
প্রয়োগ করে মহাচিকিৎসকের ভূমিকা নিয়ে তাতে সবার রোগ সেরে যাবে। কোটি কোটি পরিবার
বেঁচে যাবেন এবং তাঁদের ছেলে
মেয়েরা সুস্থ জীবন ফিরে পাবেন। প্রতিদিন সকালে উঠেই আর শুনতে হবে যে যুবক- যুবতীরা
মদ খেয়ে বেলাল্লাপণা করতে গিয়ে নিজের জীবন শেষ করে ফেলেছে। এক ধাক্কায় সব পরিবারের
সদস্য জাতীয় জ্ঞান- মানবিক মুল্যবোধ- নৈতিক জ্ঞান ও আত্মিক জ্ঞানের আলোতে আলোকিত
হয়ে দেশপ্রেমিক হয়ে উঠবেন। Charity
begins at home. নিজের বাড়ী থেকেই যে কোন শুভ কাজ শুরু করতে হয়। নিজের
ঘরে অশুভশক্তিসম্পন্ন রোগী থাকলে কখনো বাইরের জগতকে রোগমুক্ত করা যায় না। আমাদের
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সহ অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে বলছেন-
বিদেশী ব্যাঙ্কের কালো টাকা উদ্ধার না করে কেনো দেশের কালো টাকার উদ্ধারের অভিযান
শুরু করলেন? কত হীনমনের নেতা হলে এইরূপ উক্তি করে দেশের জনগণকে বিপথে পরিচালিত
করার জন্য এইরূপ উক্তি করতে পারেন তা আপনারা ভেবে দেখুন। দেশের নেতা- মন্ত্রী নিজে
সৎকর্মশীল হয়ে দেশের জনজনকে সৎকর্মশীল হবার আহ্বান জানাবেন। তা না করে যদি দেশের
নেতা –মন্ত্রী নিজেরাই টাকার কালো পাহাড় গড়ার জন্য দেশের যুবশক্তিকে বিপথে
পরিচালিত হবার জন্য উৎসাহ দান করেন তবে কি সেই দেশে একটাও সৎকর্মশীল মানুষ গড়ে
উঠবে? তাই ভারতবাসীদের প্রতি আবেদন আপনারা অসৎ নেতাদের কথায় কর্ণপাত করবেন না।
স্বচ্ছ ভারত ও সোনার ভারত গড়ে তোলার জন্য দেশের যত অসৎ নেতা –মন্ত্রী, কালো টাকার
মালিক, গরীব লোকদের রক্তচুষে ধনী সবায়কে ধরিয়ে দিয়ে দেশকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে
আসুন। জয় ভারত মাতার জয়।