বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—২৮/ ১০/ ২০১৬ স্থানঃ—মথুরাপুর*
মানিকচক* মালদা* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞকে যে তুচ্ছ করে তার জীবনও তুচ্ছ হয়ে
যায়।]
বেদ যজ্ঞের শাসনকে তুচ্ছ করিও না, তাহলে তুমিও কোথাও তুচ্ছ- তাচ্ছিল্যরূপে
গণ্য হবে না। বেদের শাসন দ্বারাই যুগে যুগে এই পৃথিবীর বুকে রাম রাজত্বের
প্রতিষ্ঠা করে গেছেন বৈদিক ঋষিগণ। পরবর্তীতে মানুষ বেদের প্রজ্ঞা থেকে সরে গিয়ে
নিজেদের কামনা- বাসনার রাজত্ব গড়তে শুরু করেন। ঈশ্বরের প্রেম থেকে নিজেদেরকে দূরে
সরিয়ে নেওয়ার ফন্দি ও বিচ্ছিন্নতাবাদ সৃষ্টি করার কৌশল বেদবিরোধী মানুষরা শুরু
করেন। বিভিন্ন ধর্মের নামে রাষ্ট্র গড়ে তুলতে গিয়ে মানুষকে পথভ্রষ্ট করতে শুরু
করেন। বেদের প্রজ্ঞাকে ত্যাগ করে সুবিবেচনা থেকে তারা অনেক দূরে সরে যান। নিজের
সুখ- সম্পদ দেখতে গিয়ে মানুষের মধ্যে শ্রেণির সৃষ্টি করেন। হৃদয়ের বেদকে যে রক্ষা
করতে পারে না সে তো নিজের ধর্ম রক্ষা করতেও সক্ষম নয়। সে কিভাবে কোন ধর্মের নামে
রাষ্ট্র গড়ে মানুষকে ধার্মিক করবে? তাই কোন ধর্মের নামে রাষ্ট্র গড়ে তোলার
পরিকল্পনা সনাতন ধর্ম বা বেদের ধর্মের পরিপন্থী পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনা
বেদপন্থীদের মাথায় অনুপ্রবেশ করিয়ে সনাতন ধর্মের ঐতিহ্য ও একতাকে একশ্রেণীর বিদেশী
চক্র ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই এখন আমাদের চিন্তা করার সময় এসেছে যে আমরা বিশাল এক
সাগর হয়েও কেনো তুচ্ছ হয়ে গেছি? বেদ হচ্ছে আমাদের সেই বিশাল সাগর, তাকে ঘিরেই
আমাদের জীবনযজ্ঞ। এই বেদযজ্ঞকে যেদিন থেকে আমরা তুচ্ছ- তাচ্ছিল্য করতে শুরু করেছি,
সেদিন থেকেই আমাদের জীবনচক্রও তুচ্ছ হতে শুরু করেছ। জয় বেদ যজ্ঞের জয়।