বেদ যজ্ঞ
সম্মেলনঃ—৩১/ ১০/ ২০১৬ স্থানঃ—মথুরাপুর* মানিকচক* মালদা* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করলেই তুমি
বেদভগবাম্নবনের নিকট থেকে প্রজ্ঞা ও সদুপদেশ পাবে, তা নিয়েই সকলকে বেদযজ্ঞ করার
আহ্বান জানাও এবং বেদভগবানের পথে আসার জন্য ডাক দাও।]
ন্যায়পরায়ণতা
সহকারে পবিত্র মনে একবার বেদ যজ্ঞ করার ইচ্ছা জাগলেই বেদভগবান তাকে কাছে টেনে নেন।
তিনিই তখন অন্তরে ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা, সহিষ্ণুতা দান করেন। তিনি সবার অন্তরের
কথা জানেন। তাই কে সৎকর্মপরায়ণ হয়ে বেদযজ্ঞ করার জন্য ছটপট করছে, আর কে কপটতা
অবলম্বন করে লাভলোকসান- মান- সম্মানের হিসাব কষছে তা জানতে তাঁর মুহূর্ত মাত্র সময়
লাগে না। তাঁর পথ ছেড়ে যারা বিপথগামী হয়, তাদেরকেও তিনি চেনেন। আর কে তাঁর সৎপথে
আছে এবং গোপনে বেদযজ্ঞ করে চলেছে তাও তিনি সবিশেষ জ্ঞাত আছেন। তাই তাঁকে ফাঁকি
দিয়ে কেউ প্রজ্ঞাবান হতে পারে না। আর যে ব্যক্তি তাঁর জ্ঞান ও সদুপদেশ না পায় সেতো
চোরাবালির উপর ইমারৎ তৈরী করে পতনের জন্য অপেক্ষা করে মাত্র। ঈশ্বরের জ্ঞানবিহীন
ধন- ঐশ্বর্য –সন্তান- সন্ততি পার্থিব জীবনের সাময়িক সময়ের শোভা মাত্র। আর ঈশ্বরের
দেওয়া প্রজ্ঞা বা বেদজ্ঞান যারফল চিরস্থায়ী। মানুষকে উলঙ্গ হয়ে এই কর্মভূমি ও
জ্ঞানপীঠে আসতে হয়, সৎকর্ম করে জ্ঞানের পোশাক পরিধান করে ফিরে যাবার জন্য। এই পোশাক ছাড়া সে যেমন এই
জগতের কিছুই সাথে নিয়ে যেতে সক্ষম নয়, তেমনি এই জ্ঞানের পোশাক বিহীন উলঙ্গ হয়ে তার
কোন দরবারেই যাবার সাহস থাকে না। তাই তাকে পুনঃ জন্ম- মৃত্যুর ফাঁদ খোঁজ করতে হয়।
জন্ম- মৃত্যুর ফাঁদ অর্থাৎ যোনী খুঁজতে গিয়ে তাকে নাজেহাল হতে হয় পুনঃ দেহ ধারণ করার জন্য। অনেকে পূর্ব পূর্ব
জন্মের স্মৃতিকে মনে রাখতে সক্ষম হন আত্মজ্ঞান নিয়ে দেহত্যাগের ফলে। জীবকে কালের
নিয়মে দেহ ত্যাগ করতে হয় কিন্তু আত্মজ্ঞান ত্যাগ করতে হয় না। দেহজ্ঞান দেহ ত্যাগের
ফলে বিনষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু আত্মা অজর- অমর হওয়ার কারণে এই জ্ঞানের ধ্বংস হয় না।
আমরা মানব সমাজের বুকে মানুষের মধ্যে শ্রদ্ধা ও জ্ঞানের তারতম্য দেখতে পায় এই
কারণে। জয় বেদ যজ্ঞের জয়।