বেদ যজ্ঞ
সম্মেলনঃ—০২/ ১০/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোড়শালা* মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিসয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করে ভু-ভারতে যত
পাপীস্থান আছে তা চিহ্নিত করে সেসব স্থানে বীর হনুমানকে পাঠিয়ে দাও অগ্নি সংযোগ
করে সেইস্থান পবিত্র করার জন্য।]
ভারত এই
পৃথিবীর সকল দেশের প্রাচীন আধ্যাত্মিক পীঠস্থান। এই দেশের মাটিকে যারা অবজ্ঞা করবে—আঘাৎ
হানবে তাঁদেরকে কে রক্ষা করবেন? অহংকার বশত রাবণ এই দেশের লক্ষ্মীকে চুরি করে নিয়ে
যান। এই খবর ছড়িয়ে যাওয়া মাত্র এক লাফে হনুমান সাগর পার হয়ে গিয়ে সেই পাপীস্থানকে
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড়-খাড় করে দিয়ে আসেন শ্রীরামচন্দ্রের চরণতলে। শ্রীরামচন্দ্র
সাথে সাথে অহংকারী রাবণকে ধ্বংস করে সেই স্থানকে পবিত্র করে তাঁরই ভ্রাতা বিভীষণকে
সিংহাসনে বসান। ভারতে কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিন যে সবিতা বা গায়িত্রী মন্ত্র জপ
করেন তাঁর সত্তায় অসংখ্য সূর্যমণ্ডল সত্তাবান। এই সবিতা সূর্যের সূর্য। অসংখ্য
সৌরমণ্ডল সবিতাকে পরিক্রমণ করে। এই সবিতার কেন্দ্রস্থলে ভারতভুমি বা দেবভুমির
অবস্থান। এই দেবভুমিকে ধ্বংস করার জন্য যুগে যুগে এই পৃথিবীর বুকে পাপীস্থান অসুর-
রাক্ষস- শয়তানেরা গড়ে তোলে বস্তুবিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে। তাঁরা কিছুকাল অহংকারের
রাজত্ব করার পর নিজেদের অস্ত্রেই নিজেরা ধ্বংস হয়ে যান, যখন সেখানে হঠাৎ বীর
হনুমানের আবির্ভাব ঘটে। ওঁ রাম শ্রীরাম জয় জয় রাম। রঘুপতি রাঘব রাজা রাম।