Home » » ব্যাড যজ্ঞ সম্মেলনঃ--৩১/ ০৮/ ২০১৬

ব্যাড যজ্ঞ সম্মেলনঃ--৩১/ ০৮/ ২০১৬

বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—৩১/ ০৮/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোড়শালা* মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ  সৎ মানুষ কখন শুরু করেন এবং কখন এই ধরাতে ঈশ্বর অবতীর্ণ হন।]

 এই ধরার বুকে প্রকৃতিকে আশ্রয় করে স্বাভাবিক ভাবেই তিন শ্রেণির মানুষ উৎপন্ন হয়। দেব প্রকৃতির, মানব প্রকৃতির ও দানব বা রাক্ষস প্রকৃতির, এই তিন ভাবে এঁদের ভাগ করা হয়ে থাকে। এঁরা তিন প্রকৃতির হলেও সবায় মানুষের আকৃতি নিয়ে মানব সমাজেই জন্মায় এবং মানব সমাজেই বাস করে। সবার পিতা- মাতা- পুত্র- কন্যা- আত্মীয় স্বজন থাকে। তাহলে কিভাবে এঁদেরকে চেনা যাবে? চেনা যায় না বলেই তো মানুষকে প্রতিপদে পদে হেনস্থা হতে হয়- প্রতারিত হতে হয় এবং সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়। যখন সর্বত্র পরদ্রব্য হরণ, নারী নির্যাতন, দুষ্ট, চোর- ছ্যাঁচোড়দের রমরমা কারবার বেড়ে যায়-- কেউ পিতা- মাতা- গুরু- দেবতা- অতিথি- দেশভুমিকে সম্মান দেয় না- তখনি মানব সমাজের বুকে নেমে আসে অন্ধকারের ছায়া। তখন সাধু- জ্ঞানী- গুণীদের সেবা করার কথা কেউ ভাবে না এবং এসবের প্রশ্নও উঠে না, বরং দেখা যায় সাধু- জ্ঞানী- গুণী ব্যক্তিরাই দানব বা রাক্ষসদের সেবা করেই নিজেদেরকে ধন্য মনে করছেন। তখনি বুঝতে পারা যায় দেব প্রকৃতির ও মানব প্রকৃতির মানুষের সংখ্যা এই ধরাতে কমে গেছে এবং অস্বাভাবিকভাবে দানব বা রাক্ষস প্রকৃতির মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তখন এই সংখ্যার সমতা আনার জন্যই শুরু হয় বেদ যজ্ঞ। এই বেদ যজ্ঞের আলো পেয়ে অনেকের অন্তরের পরিবর্তন ঘটতে থাকে। দানব মানবে ও মানব দেবতায় পরিণত হয়। তাঁরাই তখন ঈশ্বরকে এই ধরার বুকে আহ্বান করতে থাকেন একটা বিশাল বিপ্লব ঘটাবার জন্য। তখন এঁদের আহ্বানকে তিনি উপেক্ষা না করতে পেরে অবতীর্ণ হন তাঁদের মাঝে তাঁদের মতো হয়েই এবং নিজের মায়াদেহ ধারণ করে বিশাল বেদের বিপ্লব ঘটিয়ে নিজের লীলা শেষ করেন- একটা যুগের পরিবর্তন ঘটিয়েজয় বেদ যজ্ঞের জয়। 
Facebook CommentsShowHide
Disqus CommentsLoadHide