বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—৩০/ ০৮/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোড়শালা*
মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করলেই মানুষের অন্তর থেকে অন্যের
অনিষ্ট চিন্তা দূর হয়ে যায়।]
যে ব্যক্তি বেদ যজ্ঞ নিয়েই মত্ত থাকেন তাঁর আর
দ্বিতীয় চিন্তা আসবে কোথা থেকে? তিনি নিজের দিব্যদৃষ্টিতে দেখতে থাকেন এক হরি সবার
হৃদয় মন্দিরে বাস করছেন। বেদ যজ্ঞের শিখায় আলোকিত হয়ে কেউ তা দেখতে পাচ্ছেন কেউ
দেখতে পাচ্ছেন না। যে ব্যক্তি বেদ যজ্ঞের প্রভাবে তাঁর কৃপা লাভ করে অন্তর্দৃষ্টি
পাচ্ছেন, তিনি সকলের হৃদয়ে হরি আছেন জেনে অন্যের অনিষ্ট চিন্তা করেন না, সেই কারণে
তাঁরও কোন অনিষ্ট হতে পারে না। তাঁদের চিন্তা—কেশব আমাতেও আছেন, সর্বভূতেও আছেন,
ইহা জেনে আমি কারও মন্দ ইচ্ছা করি না, কাকেও মন্দ বলি না, আমি সকলের শুভ চিন্তা
করি, আমার শারীরিক বা মানসিক বা ভৌতিক অশুভ কেন ঘটবে? তোমাতে ভগবান আছেন, আমাতে
আছেন, আর সকলেও আছেন, তখন এই ব্যক্তি মিত্র, এই ব্যক্তি শত্রু, এমন করে পৃথক ভাবি
কিরূপে? তাই এতো নীতিশাস্ত্র জেনে আমার লাভ কি? তাই হে আমার অন্তরের হরি – আমি যেন
সদায় প্রহ্লাদ হয়ে সদায় তোমার আশ্রয়ে মহানন্দে অবস্থান করি। এই চিন্তাকে আশ্রয় করে
যারা বেদ যজ্ঞ করেন এবং আপনিই আপনাতে সদা আনন্দময় হয়ে আছেন – তিনিই হরিময় হরে হরি
হয়েই অবস্থান করেন। ওঁ হরি ওঁ তৎ সৎ।
