বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—২৯/ ০৮/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোড়শালা*
মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করেই হিন্দুদের
জাগিয়ে তুলে সঙ্ঘবদ্ধ করতে হবে শ্রীকৃষ্ণের জাতীয় আদর্শে।]
একদা হিন্দুই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ও আদর্শ জাতি ছিল।
শিক্ষা – দীক্ষা- দর্শন – কলা- সাহিত্য- বিজ্ঞান- ধর্ম – মনুষ্যত্ব সবদিক থেকে
উন্নত এই জাতির কাছে শিক্ষা গ্রহণ করতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে
আসতো। হিন্দু জাতির আদর্শ চরিত্রের মানুষ ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। শ্রীকৃষ্ণ চরিত্র নিয়ে
যত আলোচনা- সমালোচনা হয়েছে তা অন্য কোন চরিত্র নিয়ে হয়নি। একজন আদর্শ মানুষ কতরূপে
মানুষের কাছে পূজিত হয় তা আমরা শ্রীকৃষ্ণের জীবনের বিভিন্ন দিকের আলোচনার বাহার
দেখলেই অনুধাবন করতে পারি। তাঁর জীবনের কোন অংশই আমাদের পূজার বেদি থেকে বাদ পড়ে
নি। ধর্মাত্মা ব্যক্তি রাজ্যের শাসনকর্তা হলে সমাজের অনন্ত মঙ্গল হয়, তা তিনি রাজা
না হয়েও ধর্মাত্মা ব্যক্তিদের সেই পদে বসিয়ে দেখিয়ে গেছেন। তাঁর সম্রাট হবার সমস্ত
গুণ ছিল কিন্তু তিনি সেই পদে কখনো বসেন নি, কিন্তু সর্বশ্রেষ্ঠ নীতিজ্ঞ হয়ে সারথির
ভুমিকা গ্রহণ করতেও ভুল করেন নি। পৃথিবীর অন্যান্য ধর্মাত্মা ব্যক্তির সাথে
শ্রীকৃষ্ণের এইটাই তফাৎ। তিনি সংসারী,গৃহী, রাজনীতিজ্ঞ, যোদ্ধা, দণ্ডপ্রণেতা,
তপস্বী, ধর্ম প্রচারক, ধর্ম- সংরক্ষক হয়েও কিভাবে প্রবৃত্তিশূন্য হয়ে নিজের
কর্তব্য কর্ম করতে হয়, তা তিনি নিজের জীবন আদর্শ করেই মানবজাতিকে দেখিয়ে গেছেন।
অতএব হিন্দুদের আদর্শ মানুষ – গুরু – ভগবান একমাত্র শ্রীকৃষ্ণ। তাঁকে আদর্শ করেই
বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে হিন্দু জাতিকে পুনঃ জাগিয়ে তুলে সংঘবদ্ধ করতে হবে ক্ষুদ্র
সংকীর্ণতার বেড়াজাল থেকে মুক্ত করে। একমাত্র ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ পথেয় দেশের ও
দশের মঙ্গলের জন্য রাজনীতি করতে হবে হিন্দু তথা সনাতন ধর্মকে বিশ্বের বুকে সংরক্ষণ
করার জন্য। এই পথ ছাড়া মানব জাতির অন্য কোন পথেয় সার্বিক মঙ্গল আসতে পারে না। জয় শ্রীকৃষ্ণ ।