বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—২৬/ ০৮/ ২০১৬ স্থানঃ –ঘোড়শালা*
মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করে তোমরাও রামভক্ত হনূমানের ন্যায়
সাগর পার হয়ে রাক্ষস রাজাদের রাজত্বে যাও বিশাল বেদের বিপ্লব ঘটাবার জন্য।]
আমরা রামায়ণে জেনেছি বীর হনূমান সাগর পার
হয়ে লঙ্কায় সীতা উদ্ধারের জন্য যান। সেখানে গিয়ে রাক্ষসরাজ রাবণ তাঁকে ক্ষুদ্র
বানর ভেবে তাঁর উপর অত্যাচার শুরু করেন এবং তাঁর লেজে আগুন ধরিয়ে দেন। সেই আগুনে
তিনি সারা লঙ্কা পুড়িয়ে ছাড়-খাড় করে দেন। এর আধ্যাত্মিক রহস্য হলো—এক বিভীষণ ছাড়া
সেই দেশে কেউ বেদ যজ্ঞ রহস্য জানতেন না এবং কারোও পরমাত্মার প্রতি বিশ্বাস ছিল না।
এক বিভীষণ কি করবেন? আসল রাজা রাবণ তিনিই তো অহংকারী। তাই রামভক্ত হনূমান সেখানে
ভগবান রামের পদার্পণের ব্যবস্থা করতে গিয়ে একদিনেই মুহূর্তের মধ্যেই সেখানকার
অধিবাসীদের অন্তর দগ্ধ করে রামভক্ত করে তুললেন। সকলেই পার্থিব সম্পদের মোহ ত্যাগ
করে হনূমানের ডাকে ঘর- দুয়ার ছেড়ে বেড়িয়ে এলেন। বিশাল বিপ্লব ঘটে গেল রাম নামে।
সকলেই তাঁকে দেখার জন্য উৎসুক হয়ে উঠলেন। আসুরিক সম্পদের মোহ ত্যাগ করে, অর্থাৎ
রাক্ষস রাজ রাবণের আনুগত্য ত্যাগ করে ভগবানের আশ্রয়ে চলে আসা এটাই হচ্ছে আত্মিক
বিপ্লব, যা ভক্ত হনূমান ঊনপঞ্চাশ বায়ুকে একযোগে প্রবাহিত করে অনায়াসে করতে সক্ষম
হয়েছিলেন। একমাত্র ঘরে আগুন লাগলেই সব জীব
ঘরের মায়া ত্যাগ করে বাইরে বের হয়ে এসে
ভগবানের আশ্রয় লাভের জন্য অন্তর থেকে প্রার্থনা জানান। বীর রামভক্ত
হনুমানজি সেই পথ অবলম্বন করে সেখানে জয়ের পতাকা উড্ডীন করেন। ভগজয় বীর হনূমান ।