বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—৩১/ ০৭/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোড়শালা* মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[
বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে তোমরা সংকীর্ণ চিত্ত ও সন্দিগ্ধ চিত্তের ঊর্ধ্বে উঠে নিজেকে
সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত কর।]
বেদ ভগবান তোমার সাথে আছেন এবং
তিনি তোমাকে দিয়ে ভাল ভাল কাজ করিয়ে নিচ্ছেন। এই সত্যের উপর কোনরূপ অবিশ্বাস- সংকীর্ণতা
– সন্দেহ ও অহংকার যেনো না আসে, সেদিকে সতর্ক থেকে পথ চলতে থাকো। যারা সংকীর্ণ ও
সন্দিগ্ধচিত্ত থেকে মুক্ত হয়ে সৎ পথ অবলম্বন করবে তারা তো নিজেদের মঙ্গল নিজেরাই
করবে। আর যারা অসৎ পথ অবলম্বন করে সংকীর্ণ ও সন্দিগ্ধচিত্তে এই পৃথিবীতে বেঁচে
থাকার জন্য সংগ্রাম করবে, জানবে তারা বেঁচে থাকলেও তাদের মন মরা মানুষের ন্যায়।
তারা নিজেদের ধ্বংস নিজেরাই ডেকে আনে। এই সব লোকদের ঈশ্বর চিরকাল ঘুমন্ত অবস্থায়
থেকে যান কুম্ভকর্ণের ন্যায় তাঁদের অন্তরে। ঈশ্বরের বিশালত্ব কোনকিছু দিয়ে মাপা
যায় না—এই বিশালের সান্নিধ্যে গিয়ে তাঁর কৃপা- সাহায্য- সহযোগিতা নিতে হলে
মানুষকেও বিশাল হতে হয় সমস্ত সংকীর্ণতা থেকে মুক্ত হয়ে। মানুষের মধ্যে অনেকেই আছেন
যারা মনে করেন কোন একটি কিতাব, কোন একটি বিশেষ পোশাক, কোন একটি ধর্মীয় আচার
অনুষ্ঠানের মধ্যেই ঈশ্বর নিজেকে আবদ্ধ রেখেছেন। এই সংকীর্ণতা ও সন্দিগ্ধচিত্ত
তাদেরকে অন্ধকার জগতে আবদ্ধ করে রাখে। এসব থেকে মুক্ত হয়ে এগিয়ে চলায় হচ্ছে
মানুষের ধর্ম – এগুলো হচ্ছে উঁচু মন্দিরে উঠার এক একটা সিঁড়ির ধাপ। ধ্যাননেত্র
নিয়ে মানবধর্ম ক্ষেত্রে বিচরণ করে মুক্ত মন নিয়ে সবকিছু বিচার করেই গ্রহণ করতে হয়,
তা-না হলে জীবনের সব কর্ম বৃথা হয়ে যায়। সে ধর্ম বা সম্প্রদায়ের মানুষ হউক না কেনো
ঈশ্বরের বিধান সবার জন্যই এক। জয় বেদ
মাতার জয়।