বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ— ২৮/ ০৭/ ২০১৬ স্থানঃ-- ঘোড়শালা* মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[
ওঁ উচ্চারণ পূর্বক বেদ যজ্ঞ বা আত্ম যজ্ঞ করার অধিকার সকলের আছে।]
বেদ যজ্ঞ করে ওঁ পরব্রহ্মের সাথে
মৈত্রী স্থাপন করে সাধন পথে স্থির হও। সকলের হৃদয়- আকাশে ওঁ চিন্ময় আদিত্য সর্বদায়
ভাস্বর দীপ্তিমান সমুজ্জ্বল। তাঁর উদয় ও অস্ত বলে কিছু নেই। বৈদিক যুগের মুনি-
ঋষিদের এই সত্য বাক্যকে অন্তরে ধরে রেখে -- ওঁ ওঁ ওঁ এভাবে তিনবার ধ্বনি উচ্চারন
করে পরে মৃদুকণ্ঠে প্রণব উচ্চারণ সদায় যিনি করে বেদ যজ্ঞের আশ্রয়ে
থাকেন, তিনিই কেবল ওঁকার তত্ত্ব ও তাঁর মাহাত্ব বুঝতে পারেন। এই ওঁকার ধ্বনি,
ওঁকারের ধ্যান সকল দুঃখ- ভয় থেকে সকল মানুষকে ও দেবতাদেরকেও মুক্ত করেন। এই নাম
দুঃখ –ভয় প্রাণ থেকে তারণ করার ক্ষমতা রাখেন তাই তিনি তারকব্রহ্ম। এই নামের মধ্যেই
অন্তিমে সকল দেবতা প্রবেশ করেন, তাই তাঁর এক নাম বিষ্ণু। এই ওঁ কার সবকিছুকেই বৃহৎ
করে তুলতে সক্ষম, তাই তাঁর এক নাম ব্রহ্মা। সকল লোক ব্যপ্ত করে তিনি ছড়িয়ে পড়তে
পারেন—এই ব্যাপকত্ব হেতু তিনি সর্বব্যাপী মহাদেব নামেও প্রদিদ্ধ। এই ওঁ কারের শক্তি থেকেই
সবার উৎপত্তি হচ্ছে। ওঁ শক্তি জ্যোতির্ময় হয়ে দিন ও রাত্রির পারে অবস্থান
করেন। তাই এই মন্ত্র উচ্চারণের ক্ষেত্রে কোন সময় ও অসময় থাকতে পারেও না। তাঁর
থেকেই নিখিল বিশ্বের সনাতন জ্ঞান- বিজ্ঞানরাজি নিরন্তর বের হয়ে সকলের চেতনশক্তিকে
প্রাণবন্ত করে রাখছে। তাই শ্রদ্ধার সাথে
ওঁ উচ্চারণ পূর্বক বেদ যজ্ঞ বা আত্ম যজ্ঞ
করে নিজেকে সমস্ত প্রকার বন্ধন থেকে মুক্ত করার অধিকার সকলের আছে। আসুন আমরা সকলে
এই পবিত্র প্রণব মন্ত্র উচ্চারণ পূর্বক বেদ যজ্ঞ করে নিজের ভেতরের আত্মজ্যোতিকে
তুলে ধরি ও সকলে মিলে আমাদের সনাতন ধর্মকেই রক্ষা করে সারা বিশ্বে শান্তি- সাম্য-
সত্য ও ঐক্যকে প্রতিষ্ঠা করি। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।