বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—২৫/ ০৭/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোড়শালা* মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[
বেদ যজ্ঞকারী লোকদের সাথী স্বয়ং বেদ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং ভেদযজ্ঞকারী লোকেরা
পরস্পরের সঙ্গী—সাথী।]
বেদ যজ্ঞকারীদের অন্তরে পরম
জ্ঞানের আলো জ্বলে। তাদের আত্মা সদায় আলোকিত হয়ে থাকে পরমাত্মার জ্ঞান- বিজ্ঞানের
ঘরের আলোতে। যারা নিজ আত্মার সাথে পরমাত্মার সম্পর্কের কথায় জানে না তারা কিভাবে
তার অন্তরের দেবতা বেদ ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে চিনবে? মানুষ প্রথমে সকলেই এক প্রাণের
আলোতেই আলোকিত ছিল এবং সকলেই সরাসরি পরমাত্মার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার যোগ্যতা
রাখতো। পরে মানুষে –মানুষে জ্ঞানের তারতম্যের জন্য বিভেদ সৃষ্টি হয়। একপক্ষ বেদের
আলোর জগতে থেকে স্বয়ং ঈশ্বরকে সাথী করে এগিয়ে যেতে থাকে অপরপক্ষ নিজেদের মধ্যেই
নিজেদেরকে সাথী করে দলভারী করে পৃথিবীর শাসন ভার গ্রহণ করার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে।
দ্বিতীয় পক্ষের ঈশ্বর উপাসনা কেবল পার্থিব জগতের সুখ- দুঃখ –আনন্দ উপভোগের জন্য।
বেদ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কাছে উভয় পক্ষই সমান হলেও তিনি কিন্তু সদায় থাকেন
বেদযজ্ঞকারীদের সাথে। যারা অন্ধকার জগতে তাঁর উপাসনা করে তারা সেই অন্ধকারেই থেকে
যায়। কারণ তাদের সঙ্গী- সাথীরা কেউ তাদেরকে আলোর পথ দেখিয়ে অন্য কোনলোকে নিয়ে
যাবার ক্ষমতা রাখে না। এই ভেদযজ্ঞকারী লোকেরা নিজেকে অমৃতের সন্তান রূপে বিশ্বাস
করে না তাই তারা কৃষ্ণামৃত পান করে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে নিজের রথের সাথী বা সারথী
রূপে লাভ করতেও সমর্থ হয় না। বার বার জন্ম- মৃত্যুর ফাঁদে পড়ে কেবল গৃহযুদ্ধে
সামিল হয়, ধর্মযুদ্ধ করার সৌভাগ্য কোনদিন লাভ করতে পারেনা। তারা পৃথিবী স্বরূপ
দেহে অবস্থান করেও এই পৃথিবীকে নিজের গৃহ বা মন্দির ভাবতেও পারেনা। তাই তারা
ক্ষুদ্রমনা হয়ে নিজ আত্মার বিশালত্ব হারিয়ে ফেলে দুর্যোধন –দুঃশাসনের ন্যায়
পাপাত্মা- দুরাত্মা হয়ে নিজেদের সঙ্গী-সাথীদের নিয়ে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে, বেদবিরোধী
কাজে লিপ্ত হয়ে, কেবল গৃহযুদ্ধের দামামা বাজাতে থাকে। জয় বেদ যজ্ঞের জয়।