বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—২২/ ০৭/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোড়শালা* মুর্শিদাবাদ* পঃবঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[
বেদ যজ্ঞ করেই এই দুর্লভ জীবনকে সর্বাঙ্গীণ মঙ্গলময় করে তোলো।]
মানব জন্ম অত্যন্ত দুর্লভ জন্ম। কত জন্ম-মৃত্যুর প্রবাহে ভেসে থাকার পর, এই
মানব স্রোতের অনুকুল পরিবেশ পেতে হয়, জন্ম নেওয়ার জন্য—তা আমরা কেউ জন্ম নেওয়ার
পরে অনুভব করতে পারি না। এই জন্ম লাভ করার পরে মানুষ যদি নিজের জ্ঞান- বুদ্ধি-
বিচার শক্তিকে কাজে না লাগায় পরমাত্মার সন্ধানে, তাহলে তো শোচনীয় ভুল করে বসবে।
একটু মানুষ চিন্তা করলেই দেখতে পাবে, তার হাতের কাছেই পরমাত্মা লাভের সমস্ত সাধন
সামগ্রীও রয়েছ। যতদিন এই দুর্লভ মানব শরীর থাকবে ততদিন সে বেদ যজ্ঞ করতে পারবে। এই
শরীর বিনাশ হলেই আবার তাকে কোন প্রবাহে ভেসে যেতে হবে তা কেউ জানে না। মানব শরীর
ছাড়া অন্য প্রকার জন্ম কেবল কর্মফল ভোগের জন্য হয়ে থাকে। সেই সব জন্মে জীব
পরমাত্মা লাভের কোনো সাধনাই করতে সমর্থ হয় না। অথচ তাদের অন্তরেও সেই একই পরমাত্মা
বিরাজ করছেন। তাই যারা বুদ্ধিমান পুরুষ
তারা এই দুর্লভ জীবনকে অবহেলায় নষ্ট হতে দেয় না। নিজের পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয়, পঞ্চ
কর্মেন্দ্রিয়, মন, বুদ্ধি ও অহংকারকে কাজে লাগিয়ে নিজ আত্মার সাথে বেদ যজ্ঞের
মাধ্যমে পরমাত্মার সেতু বন্ধন করেই চলে যতদিন মানব দেহে অবস্থান করে। এই বুদ্ধিমান
পুরুষ প্রত্যেক জাতির প্রতিটি প্রাণির মধ্যে পরমাত্মাকে প্রত্যক্ষ করে থাকে বেদ
যজ্ঞের মাধ্যমে এবং সবার মঙ্গল কামনায় রত থেকে নিজেকে সর্বাঙ্গীণ মঙ্গলময় করে তোলে
এবং জন্ম- মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্ত হয়ে অমর হয়ে যায়। জয় বেদ যজ্ঞের জয়।