বেদ যজ্ঞ
সম্মেলনঃ—২১/ ০৭/ ২০১৬ স্থানঃ- ঘোড়শালা* মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করেই
তোমাদেরকে বেদের পূজারী হয়ে সনাতন ধর্মকে রক্ষা করতে হবে।]
ওঁ কার বেদের
মধ্যেই প্রাণরূপী প্রসবিতারূপী ভুবন ঘুমিয়ে ছিলেন। তিনিই তাঁর সনাতন রূপ ও ধর্ম
নিয়ে জেগে উঠলেন। জেগে উঠার সাথে সাথে তাঁর গর্ভ থেকে সনাতন ধর্মের পূর্ণ বেদ ও শক্তি
নিয়ে ধনুর্ধর অদ্বিতীয় অপ্রতিদ্বন্দ্বী কার্ত্তিক- এর আবির্ভাব ঘটতে থাকে--
সমস্ত কুপ্রভাব ও অন্ধকার থেকে ধরিত্রীকে মুক্ত করার জন্য। যে হিরণ্যগর্ভ মহাসূর্যরূপে
মহাকাশে দীপ্যমান ছিলেন, তাঁর আবির্ভাব মর্ত্যধামে ঘটতে শুরু করলো জীব দেহে অগ্নি
রূপে। এই অগ্নির সহযোগিতায় প্রাণীসমূহের ইন্দ্রিয়ের অধিপতি হলেন বজ্রধারী ইন্দ্র।
তিনিই চন্দ্রকিরণ পরিপুষ্ট শষ্যাদির মধ্যে কামরূপে নিহিত হলেন। সেই শষ্যাদি
ভক্ষণের ফলে প্রাণিদেহে কাম ও বীর্যের সঞ্চার ঘটতে থাকলো। জীবের হৃদয় গুহায় রুদ্র
বা শিবরূপে এই ওঁ কার বেদ হচ্ছেন সনাতন। এই সনাতন বিধান কে পরিবর্তন করতে পারবেন?
এই সনাতন ধর্মের অধীনে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সর্বভূত নিজ নিজ কর্তব্য কর্ম করে
চলেছেন। মানুষ বুদ্ধিমান জীব, তাঁরা সকলেই বেদের পূজারী হয়ে সনাতন ধর্মকে রক্ষা
করে চলেছেন – এই সত্যজ্ঞান লাভ করলেই তাঁরা নিজ নিজ অন্তরের গুহায় অবস্থান রত
শিবের সন্তান কার্তিকের ন্যায় সমুজ্জ্বল হয়ে উঠবেন এবং নিজ নিজ কিরণরূপী বাণসমূহ
চারদিকে বিস্তার করে নিজের সনাতন মূর্তিকে তুলে ধরে সনাতন ধর্মকে রক্ষা করতে
পারবেন। সেই সাথে নিজেকে অমৃতের সন্তান বা ঈশ্বরের সন্তান রূপে জানতে পারবেন।
আধুনিক কালে প্রভু যিশু যা জেনেছিলেন- বেদের যুগের ঋষিরা সকলেই এই তত্ত্ব জানতেন।
সেই সাথে আজীবন বেদের পূজারী হয়ে নিজেকে অমৃতের সন্তানরূপে তুলে ধরতেন। জয় বেদ যজ্ঞের জয়।