বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—১৯/ ০৭/ ২০১৬ স্থানঃ- ঘোড়শালা* মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ
যজ্ঞ করেই মানুষকে ব্রাহ্মণ হয়ে মহাব্যাধি থেকে মুক্ত হয়ে অলক্ষ্মী নাশ করতে হয়,
অভক্ষ্যভক্ষণ জনিত পাপ এবং অসত্যভাষণের পাপ থেকে মুক্ত হতে হয়।]
বেদ যজ্ঞ করে যিনি প্রতিদিন বৈদিক মন্ত্র জপ করেন তিনিই ব্রাহ্মণ হন, তিনিই
ব্রাহ্মণ হয়ে ব্রহ্মত্ব লাভ করেন। তাঁকে ঈশ্বরের সাক্ষাতের জন্য উদভ্রান্তের ন্যায়
কোথাও ঘুরে বেড়াতে হয় না। তাঁরা জানেন সূর্যের দিকে মুখ করে বৈদিক মন্ত্র জপ করলেই
মানুষ মহাব্যাধি থেকে মুক্ত হয়ে সূর্যের ন্যায় জ্যোতির্ময় হয়ে উঠেন। সেই সাথে জীবন
থেকে যত অলক্ষ্মী- কুলক্ষ্মী ভাব দুরীভুর হতে থাকে এবং জীবন লক্ষ্মী স্থির হয়ে যায়
চিরকালের জন্য। বৈদিক মন্ত্রের প্রভাবে জীবন থেকে অসত্য মুছে যায় এবং যা মুখ দিয়ে উচ্চারিত হয় তাই সত্যে পরিণত
হয়। এই মহাবিদ্যা দ্বারা পঞ্চপাপ সাথে সাথে জীবন থেকে মুছে যায়। এই মহাবিদ্যা
অনুশীলনের কথা কারও কাছে কিছুমাত্র প্রকাশ করতে নেই। যে মহান ব্যক্তি দিনে রাতে
আসন- প্রাণায়াম যোগে বৈদিক মন্ত্র পাঁচবার বা আরও অধিক সাধ্য অনুসারে অনুশীলন করেন
তিনি পরম ভাগ্যবান হন এবং বেদার্থের উপলব্ধি তাঁর অন্তুরে ঘটে। তিনি অভাবমুক্ত
জীবন ধারণ করে শতায়ু হন। এই রহস্যবিদ্যাকে আশ্রয় করে মহামৃত্যুকে অতিক্রম করে
তাঁরা অমৃতলোকে যাত্রা করেন। ওঁ ভুঃ ভুবঃ স্বঃ তৎ সবিতুর্বরেণ্যং ভর্গো দেবস্য
ধীমহি। ধিয়ো যো নঃ প্রচোদয়াৎ।। ওঁ । জয় বেদমাতার জয়।