বেদ যজ্ঞ সম্মেলন=== ২৮/ ০৪/ ২০১৬ আজকের আলোচ্য বিষয় সবার জন্যেঃ-[ বেদ যজ্ঞ করে অন্তরের গভীর সমুদ্রে ডুব দাও রত্ন তোলার জন্যে।]
বেদ
যজ্ঞ তোমাদের জীবনে হয়ে চলেছে স্বাভাবিক নিয়মে অন্তরের গভীরে সকলকে নিয়ে গিয়ে
পরিশুদ্ধ করে তোলার জন্যে। এই গোপন তত্ত্ব অধিকাংশ মানুষ জানতে পারেনা সংসারের
মায়া মোহতে নিমজ্জিত হয়ে থাকার কারণে। তাই
বলি জীবন সমুদ্রের উপরে স্নান করে কী করবে? নোনাজলে স্নান করে
পবিত্র হতে পারবে কি? নোনাজলের ফেনা তোমার জীবনকে বিষাক্ত করে তুলবে। কিছুই পাবেনা
এই সমুদ্রে গা ভাসিয়ে। যদি রত্ন পেতে চাও তবে জীবন সংসারের গভীরে ডুব দাও ডুবরী
হয়ে। সেখান থেকে মহামূল্যবান রত্নরাজি উত্তোলন করে নিয়ে এসো। সেই রত্নরাজির পাহাড়
বানাও—দেখো তুমি কত ধনী হয়ে উঠেছ মানব সমাজে।যতক্ষন না তুমি জীবন সাগরের গভীরে ডুব
দিতে পারছো ততক্ষন তুমি এক কানাকড়িরও মালিক হতে পারবেনা এই স্বপ্নময় জগত
সংসারে।তোমাকে পরের ধনে পোদ্দারি করতে হবে সারাজীবন। পরের ধন নিয়ে মাতব্বরি করতে
করতেই তোমার স্বপ্ন ভেঙ্গে যাবে। তখন দেখবে তোমার নিজস্ব সম্পদ কিছুই নেই। কেউ
তোমাকে ধার দেবে না জীবন গড়ার জন্যে নূতনভাবে। তোমরা বিশ্বমানব কর্মী হয়ে এসেছো বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে জীবনের গভীর সমুদ্রে
ডুবুরি হয়ে ডুব দিয়ে রত্ন তোলার জন্যে। সাত সমুদ্র, সাতলোক, সাততীর্থ ও সাত সুর দিয়ে তোমাদের অন্তর জগত তৈরি। তোমাদের মনকে শান্ত
করে, সেই মন নিয়ে ডুব দাও সাগরে, দেখতে পাবে একটার পর একটা রত্ন ওঠে আসছে তোমার
হাতে। ধীরে ধীরে সপ্ত লোক, সপ্ত তীর্থ, সপ্ত সুর তোমার হাতের মূঠোয় চলে আসবে।
স্বপ্নের জগত সংসার থেকেই গড়ে উঠতে থাকবে তোমার দিব্যরূপ জেগে উঠার জন্যে।
সম্পদহীন মানুষের কোনো লোকে স্থান নেই। তাই তোমরা এমন সম্পদের মালিক হও—যে সম্পদ
দেখে সকলে তোমাদের ধনী বলে মান্য করবে। ব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত সম্পদ রয়েছে ঈশ্বরের জ্ঞান- বিজ্ঞানের ঘরে। সেই ঘর যুক্ত
ব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত সৃষ্টির সাথে। আবার
তোমার অন্তর যুক্ত ব্রহ্মাণ্ডের জ্ঞান-বিজ্ঞানের ঘরের সাথে। তাই চিন্তা শক্তি
পেয়েছ, চেতনা বাড়িয়ে যাও—জাগ্রত হবার স্বপ্ন দেখো রত্ন ভাণ্ডার হাতে নিয়ে এবং অভাবমুক্ত জীবন গড়ে তোলো সবার মঙ্গলের জন্যে। হরি ওঁ তৎ সৎ।