[ বেদ যজ্ঞের
মাধ্যমে সত্যের উপর নিজের কর্মকে স্থির রেখে এগিয়ে চলো।]
অপরের কর্মফল চুরি
করে করে যারা খায় তাদের জীবনে কোনদিন শান্তি আসতে পারে না। তারা নিজের জীবনের
জন্যে কেবল শাস্তি ক্রয় করতে থাকে। মানুষের কর্মফল মৃত্যুর সাথে সাথে শেষ হয়ে যায়
না। সেই কর্মফলের উপর ভিত্তি করেই আবার তার নব জন্ম হয়। তাই যারা জ্ঞানী গুণী
ব্যক্তি তারা কর্মফলের আশা করে কোন কর্ম করেন না ও কারও কর্মফল চুরি করে নিয়ে
নিজের বাহাদুরি দেখাতে যান না। তারা সম্পূর্ণ অবশ হয়ে কেবল নিজের কর্তব্য কর্ম করে
চলেন জীবনকে নিজ দেহে ধরে রাখতে হবে এই কৌশল টুকু জেনে। কর্মের অধীনে থেকে মানুসের
বুদ্ধি বাড়ে আর কমে। তাই মানুষের বুদ্ধি নির্মল হয় যখন সে সৎ চিন্তা করে সৎ কর্ম
করে। মানুষের জীবনে দারিদ্রতা, রোগ, দুঃখ, বন্ধন ইত্যাদি আসে অজ্ঞতার কারণে। এই অজ্ঞতা
যারা অন্তরে পুষে রাখে, তাদের ক্ষেত্রে কেবল অজ্ঞতায় প্রসব করতে থাকে এবং অপরাধ
রূপ বৃক্ষ তাদের হৃদয়ে জন্ম নিয়ে জীবনবৃক্ষকে অপরাধী করে তোলে। এই প্রকৃতির
মানুষেরা অভিশাপ থেকে মুক্ত হবার চিন্তা না করে কেবল অভিশাপ ক্রয় করতেই থাকে,
কোনরূপ অনুতপ্ত না হয়ে। মানুষ মাত্র আয়ু, পূর্বকৃত কর্ম, বিদ্যা, সম্পত্তি ও
মৃত্যুকে সাথে নিয়ে মনরূপী বীজ হয়ে মাতৃ গর্ভে আসে দেহধারণ করে নিজের আত্মাকে
সত্যমুখী করে পরমাত্মার সাথে এক সেতু বন্ধন করে মুক্ত হবার জন্যে। এই সত্য জেনে
যারা সত্যের উপর নিজের কর্মকে স্থির রেখে এগিয়ে চলে তারা কখনো অন্ধকারে নিমজ্জিত
হয়ে অন্ধের ন্যায় পথ চলে না ও কারোও কর্মফলের উপর নির্ভর করেনা। বাদুর প্যাঁচা এরা
দিনের আলোতে দেখতে পায় না সেটা কিন্তু সূর্যের দোষে নয়। তেমনি ভাগ্যবিধাতা কারো
ভাগ্য নিজের ইচ্ছায় লেখেন না, জীব বা মানুষ নিজের কর্মফল অনুসারে তার নিজের ভাগ্য
নিজেই বিধাতার কাছ থেকে লিখিয়ে নিয়ে আসে এই কর্মভূমি ও জ্ঞানপীঠে আরোও উন্নত জীবন
লাভ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।