Home » » বেদ যজ্ঞ করে নিজে ব্রহ্মজ্ঞানী হয়ে শান্তচিত্তে সকলকে নিজের পথে আহ্বান করো।

বেদ যজ্ঞ করে নিজে ব্রহ্মজ্ঞানী হয়ে শান্তচিত্তে সকলকে নিজের পথে আহ্বান করো।

[ বেদ যজ্ঞ করে নিজে ব্রহ্মজ্ঞানী হয়ে শান্তচিত্তে সকলকে নিজের পথে আহ্বান করো।]
  রাজার সাথে শত্রুতা করে কেউ শান্তি পেতে পারে না। তাই এই জগতের সবায়কে রাজা ভেবে কারো সাথে শ্ত্রুতার সম্পর্ক গড়ে তুলবে না। এতে নিজের সর্বনাশ তোমরা নিজেরাই ডেকে আনবে। ব্রহ্মজ্ঞানীর সাথে যারা শ্ত্রুতার সৃষ্টি করে তারা নিজেরাই নিজেদের কুলের বিনাশ ডেকে আনে। সত্যজ্ঞানের অভাবে অজ্ঞানের জগতে তারা অভিশপ্ত হয়ে ধ্বংস হয়ে যায়। এ জগতে যারা ধন- সম্পদ –খাদ্যদ্রব্য আদান- প্রদান করে থাকে, তারাই এ সংসারে সুখী থাকে নিজের পথ ধরে। তারাই নিজের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে এই জগত সংসারকে ধরে রেখেছে। তাই লজ্জা- ভয়- ঘৃণা ত্যাগ করে ব্রহ্মজ্ঞানী হলেও নিজের কর্তব্য কর্ম থেকে কখনো যারা বিরত থাকে না তারাই সৎ কর্মের দ্বারা নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে লোকমঙ্গলের ধারা এই সমাজের বুকে জীবন্ত করে রেখে যায়। ব্রহ্মজ্ঞান নিয়ে সবায় আবির্ভূত হয় এই পৃথিবীর বুকে কিন্তু এই বিদ্যা সবায় অর্জন করতে পারে না নিজের দোষে ও বংশের অভিশাপের কারণে। এই পৃথিবীর বুকে অধিকাংশ বংশ অভিশপ্ত বংশ হয়ে রয়েছে তা তারা জানে না। একবার সেই বংশের কোন সন্তান যদি এই সত্য বেদ যজ্ঞ করে জেনে নিতে পারে তবে অচিরেই সে ব্রহ্মজ্ঞানী হয়ে সেই বংশকে ব্রহ্ম অভিশাপ থেকে মুক্ত করে তার পূর্বপুরুষদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। সেই সাথে মানব জাতির পথপ্রদর্শক হয়ে উঠে। ভোজনকালে লজ্জা করলে যেমন পেটে ক্ষুধা থেকে যায় তেমনি ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন কালে লজ্জা করলে কখনো এই জ্ঞান লাভ করা সম্ভব হয় না। কেবল ব্রহ্মজ্ঞানীরা নিজের ব্যবহারে লজ্জা পায় এবং সেই লজ্জা পেয়ে নিজেকে সংশোধন করতে করতে এগিয়ে চলে ব্রহ্মজ্ঞান সাগরের দিকে। এই ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন কালে সাধক অধিক ক্ষুধা- তৃষ্ণায় অল্পকিছু পেলেও সন্তুষ্ট থাকে, ঠিক প্রভু ভক্ত কুকুরের ন্যায়। গভীর নিদ্রাকালেও এরা প্রভু ভক্ত হয়ে সতর্ক থাকে যাতে প্রভুর ঘরে কোন শত্রু প্রবেশ করতে না পারে। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।

Facebook CommentsShowHide
Disqus CommentsLoadHide