[ বেদ যজ্ঞ করে তোমরা নম্র স্বভাবের হয়ে ভক্তি- শ্রদ্ধার ভাব অন্তরে জাগ্রত
করে দেশপ্রেমিক হও।]
যত তোমাদের অন্তরে জ্ঞানসূর্য জেগে উঠতে থাকবে তত
তোমাদের মাথা নত হয়ে পড়বে সবার চরণতলে। এই নম্র স্বভাব তোমাদের সমস্ত অহংকার অন্তর
থেকে মুছে ফেলবে। তাই বেদ যজ্ঞ করে সমস্ত অহংকার ত্যাগ করে শ্রদ্ধা- ভক্তি- নিষ্ঠা
সহকারে অন্তরের জ্ঞান ও চোখের জল দিয়েই নিজের চিত্তকে পবিত্র করে নিজ আত্মার
প্রকাশ ঘটাতে হয়। এই আত্মার প্রকাশ ঘটলে কেউ তখন আপন- পর থাকে না। পৃথিবী স্বরূপ
দেহে বিশ্বাত্মার আবির্ভাব মানুষকে এতই মহৎ করে তোলে যে তখন সব অজানাকে জানিয়ে
দূরকেও একাবারে নিকটের বন্ধু করে তোলে। দূর আর দূর থাকে না এই বিশ্বাত্মার কাছে।
তখন হৃদয় কেবল প্রেমে- প্রাণে- গানে- গন্ধে- আলোকে- পুলকে প্লাবিত হয়ে ব্রহ্মাণ্ডে
নৃত্য করে বেড়াই বেহিসাবী হয়ে। বাকরুদ্ধ হয়ে যায় দেশমাতার কোলে নিজেকে বিশ্বাত্মা
রূপে দেখে- তখন শুধু আনন্দাশ্রু কাজ করে চলে ভুবনমোহনী মায়ের বুকভরা স্নেহ ও
ভালবাসা পেয়ে। কিছুই কামনা- বাসনা আর থাকে না দেশপ্রেমিকদের অন্তরে মায়ের কোলে
স্থান পেয়ে। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।