Home » » বেদ যজ্ঞ করে আত্মার বশে চলতে শিখো তাহলেই পার্থিব জগতের নোংরা- আবর্জনা থেকে মুক্ত থাকবে।

বেদ যজ্ঞ করে আত্মার বশে চলতে শিখো তাহলেই পার্থিব জগতের নোংরা- আবর্জনা থেকে মুক্ত থাকবে।

[ বেদ যজ্ঞ করে আত্মার বশে চলতে শিখো তাহলেই পার্থিব জগতের নোংরা –আবর্জনা থেকে মুক্ত থাকবে।]

আমরা সবায় এখানে পার্থিব জগতের সুখ- সাচ্ছন্দ- আহ্লাদ –আনন্দের দিকে ধাবিত হই মন ও ইন্দ্রিয়ের ধর্মানুসারে। আমরা আমাদের আত্মার আনন্দ ও মুক্তির কথা চিন্তায় করি না। এই আত্মার উপর নির্ভরশীল হয়ে যখন আমরা কর্ম শুরু করবো তখন ধীরে ধীরে আমাদের মনুষ্য জীবনেই সুফল দেখতে পাবো। আত্মার বশে কাজ করতে শিখলেই আমরা তার ফল প্রেম, আনন্দ, শান্তি, দীর্ঘসহিষ্ণুতা, মাধুর্য, মঙ্গলভাব, বিশ্বস্ততা, ইন্দ্রিয়দমন ও মৃদুতা প্রভৃতি গুণগুলি লাভ করতে থাকবো। আমাদের জীবনে চলার পথে আচরণ দিকগুলি স্বাভাবিক ভাবেই পরিবর্তন হতেই থাকবে। এই পরিবর্তনের ফলে আমরা ধীরে ধীরে এই পঞ্চভুতের আধার স্বরূপ দেহের অসারতার কথা অনুভব করতে পারবো। আমাদের এই পার্থিব জীবন থেকে মুছে যাবে অশুচিতাভাব, স্বৈরিতা, ভেদাভেদ জ্ঞান, বিবাদ, ঈর্ষা, রাগ, প্রতিযোগিতা, বিচ্ছিন্নতা, দলভেদ, পরশ্রীকাতরতা, রঙ্গরস প্রভৃতি দোষ যা আত্মাকে জানার পক্ষে ক্ষতিকারক ও দোষ স্বরূপ। তাই ভ্রান্ত পথ ত্যাগ করে মানুষ যেদিন থেকে ঈশ্বরের পথে কাজ শুরু করবে সেদিন থেকেই তার পরিবর্তন শুরু হবে। মনে রাখবে ঈশ্বরকে পরিহাস করা যায় না – তাঁকে পরিহাস করলে নিজেকেই একদিন পরিহাসের পাত্র হতে হয় সবার কাছে। মানুষ হয়ে মনুষ্য দেহস্বরূপ ক্ষেত্রে যে ফসল বুনবে, সময়কালে সেই শষ্যই ঘরে তুলতে পারবে—এতে কোন ভুল নাই। এই কর্মে ধৈর্য হারালে চলবে না – ক্লান্ত হয়ে গেলেও চলবে না – একলক্ষে স্থির থেকে এগিয়ে গেলেই আত্মার শক্তি কতো শেষে দেখতে পাবে। হরি ওঁ তৎ সৎ।


Facebook CommentsShowHide
Disqus CommentsLoadHide