[বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে সকলে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে দেশকে সমৃদ্ধশালী করে
গড়ে তোলো।]
অন্তরে সৎ প্রতিজ্ঞা না থাকলে কেউ
দেশপ্রেমিক হয়ে মহৎ উদ্দ্যেশ্য সফল করতে পারে না। প্রত্যেক মানুষ এই পৃথিবীতে জন্ম
নিয়েছে নিজের দায়িত্ব পালন করে দেশের কল্যাণে নিজের জীবন উৎসর্গ করার জন্যে। যারা
নিজ স্বার্থে কাজ করে তারা নিজেরাই নিজেদের মাথায় শাস্তির আগুন চাপিয়ে নিয়ে
অশান্তির আগুনে জ্বলতে থাকে। আর যারা দেশের পুরোহিত হয়ে কেবল দেশের মঙ্গলের জন্যে
বেদ যজ্ঞ করে চলে তারা প্রতিনিয়ত সত্যজ্ঞান লাভ করে মানুষকে সত্যজ্ঞানের উপর
সঙ্ঘবদ্ধ করে দেশকে সমৃদ্ধশালী রূপ দিতে সক্ষম হয়। বেদ যজ্ঞের পুরোহিত না হলে কেউ
নিঃস্বার্থ ভাবে দেশপ্রেমিক হয়ে দেশের মঙ্গলসাধন করতে পারেনা। বেদ যজ্ঞের রহস্য
একমাত্র বেদের যুগের ঋষিরা জানতেন। তাঁরাই এই রহস্যজ্ঞান তাঁদের বংশধরদের দিয়ে
যান। এই ব্রহ্মজ্ঞানীদের আশ্রয়ে থেকেই দেশের রাজা- প্রজা সকলেই দেশপ্রেমিক হয়ে
দেশের মঙ্গলসাধনের জন্যেই জীবন উৎসর্গ করতেন বিশ্বমায়ের চরণে সদায় অবস্থান করে। জয়
ভারত মাতা।