Home » » বেদ যজ্ঞ করে নির্ভয় চিত্তে বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে বিশ্বজয়ের পথে এগিয়ে চলো।

বেদ যজ্ঞ করে নির্ভয় চিত্তে বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে বিশ্বজয়ের পথে এগিয়ে চলো।

[ বেদ যজ্ঞ করে নির্ভয় চিত্তে বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে বিশ্বজয়ের পথে এগিয়ে চলো।]
মানুষের সব থেকে বড় রোগ ভয়। এই ভয়ের তোমাদের কোন কারণ থাকতে পারে না। কারণ তোমাদের এখানে কিছু পাবার যেমন কোন আশা নেই তেমনি কিছুই হারাবার ভয় নেই। তাহলে কেনো তোমরা শয়তানদের ভয়ে নীরব থাকবে? আজ থেকে এই জগতের জাগতিক সম্পদের লোভ ত্যাগ করো দেখবে তোমাদের অন্তর থেকে এই রোগ দূর হয়ে যাবে চিরকালের জন্যে। আজ থেকে তোমরা নিজের জয়ের চিন্তা অন্তর থেকে দূর করে সর্বত্র ঈশ্বরের জয়ের পতাকা তোলার কাজ শুরু করে দাও তাহলেই দেখবে আর অন্তরে কোন ভয়ের সৃষ্টি হবে না। মরণকে বন্ধু করেই নিয়ে এসেছো তোমরা এই পৃথিবীর বুকে- তাই তাকেই বরণ করে প্রাণে ধারণ করে এগিয়ে চলো নির্ভয়ে সত্যমুখী হয়ে—সেই কেবল তোমার জীবনের সত্যসাথী। যে মৃত্যুকে সাথে করে নিয়ে এসেছো তার হাতের তরবারি নিয়েই সংগ্রাম মঞ্চে নেমে পড়ো –দেখবে সব বাধা- বন্ধন থেকে অতি সহজে মুক্ত হয়ে যাবে। তোমার ভরা ভাণ্ডার মুহূর্তে শূন্য হয়ে যাবে—কি নিয়ে যাবে মরণতরীতে চেপে তোমার ঘরে? তাই ছিন্ন করো- ছিন্ন করো মনের সব মিথ্যা কামনা –বাসনা নির্ভয় চিত্তে এই পৃথিবীর বুকে সত্যমুখী হয়ে। মৃত্যুই একমাত্র সত্যবন্ধু হয়ে থাকে সবার জীবনকে ঘিরে। সেই বন্ধুকে সাথে নিয়ে বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে নির্ভয়ে এগিয়ে চলো সবায় বিশ্বজয়ের দিকে—সত্যের জয় ঘোষণা করতে করতে। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।

Facebook CommentsShowHide
Disqus CommentsLoadHide