[ বেদ যজ্ঞ করে জেনে
নাও ভারত দর্শন ‘সত্যমেব জয়তে’ দর্শন- তাই এখানে মিথ্যার কোন আশ্রয় নাই।]
মুণ্ডকোপনিষদ এর অন্তর্গত ‘সত্যমেব জয়তে’ এর উপর ভারতের সংবিধান
ভাগ্যবিধাতা স্থির করে দিয়েছেন। তাই সত্যেরই বিজয় হয়, অসত্যের নয়। সত্যকে ধারণ করে
এগিয়ে চলায় ভারতবাসীদের ধর্ম। এর অভিপ্রায় এই যে, পরমাত্মা সবার কাছেই সত্যস্বরূপ;
সুতরাং তাঁর প্রাপ্তির জন্য মানুষের সত্যে প্রতিষ্ঠিত হওয়া উচিত। পরমাত্মা
প্রাপ্তির জন্য সত্য অনিবার্য। জগতে সমস্ত কর্মের শেষে সত্যেরই বিজয় হয়, মিথ্যার
নয়। যারা মিথ্যাভাষণ, দম্ভ এবং কপটভাবে উন্নতির আশা করে, তারা অন্তে সম্পূর্ণভাবে
নিরাশ ও বিনাশ হয়। মিথ্যা ভাষণ এবং আচরণেও সত্যের আভাষ বিদ্যমান, যার জন্য অপরে
তাকে কোনো অংশে সত্য বলে মেনে নেয়, ওতে ক্ষণিক কিছু লাভ হয়। কিন্তু তার পরিণাম দেশ
ও দশের ক্ষেত্রে ভালো হয় না। অবশেষে সত্য সত্যই থাকে আর মিথ্যা মিথ্যাই। তাই
বুদ্ধিমান মানুষ সত্যভাষণ এবং সদাচারেরই পথ অবলম্বন করেন, মিথ্যার নয়। কারণ যাঁদের
ভোগ কামনা নষ্ট হয়ে গিয়েছে, এইরূপ পূর্ণকাম ঋষিগণ সত্যকে অন্তরে ধারণ করে সেই
মার্গে তথায় পৌঁছান, সেখানে এই সত্যের পরমাধার পরব্রহ্ম পরমাত্মা স্থিত, সেই
দেবযান- মার্গ অর্থাৎ ওই পরমদেব পরমাত্মাকে লাভ করার সাধনরূপ মার্গ সত্য দ্বারাই
পরিপূর্ণ। সেখানে অসত্য- ভাষণ, দম্ভ এবং কপটাদি অসৎ আচরণের কোন স্থান নেই। আমাদের
এই ভারতবর্ষ সার্বভৌম রাষ্ট্র। সার্বভৌম কথাটির অর্থ আত্মমর্যাদাসম্পন্ন। তাই সত্য
দ্বারাই আমাদের দেশের মর্যাদা রক্ষা করার দায়িত্ব সমস্ত ভারতবাসীর। ওঁ শান্তিঃ
শান্তিঃ শান্তিঃ।