[ বেদ যজ্ঞ করে জ্ঞান দ্বারা রক্ত শোধন করলেই জ্ঞানী সন্তানের পিতা-মাতা
হওয়া যায়।]
ভারতবর্ষের মুনি- যোগী- ঋষিরা সংসারের মধ্যে থেকে
জ্ঞান দ্বারা রক্ত –বীর্য শোধন করে এই সন্তান রহস্য ও জন্ম রহস্যকে ভালভাবে আয়ত্তে
এনেছিলেন। তাই তাঁরা সংসারে থেকেও হয়েছিলেন বিশ্বজয়ী ও বিশ্বপিতা। আত্মার রূপ
হচ্ছে পুত্র- কন্যা। এই রূপকে কিভাবে সৎ- সত্য- সুন্দর ও জ্যোতির্ময় রূপ দিয়ে আনা
যায় এই শিক্ষা ও জ্ঞান লাভ করার পরই তাঁরা সন্তানের জন্ম দিতেন। তাঁরা যেমন কোন
অজ্ঞানের অন্ধকারে নিজেকে আবদ্ধ রাখতেন না, তাঁদেরকে ঘিরে যারা অবস্থান করতেন
তাঁরাও কোন অন্ধকারে নিমজ্জিত হতেন না। তাঁদের ঔরসজাত সন্তান জন্ম থেকেই সমস্ত
অজ্ঞান থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার শক্তি অর্জন করার প্রেরনা পেয়ে সেই চেষ্টায় রত
থাকতেন। তাঁরা এই রহস্যকে জেনে নিজেকে সর্বশক্তিমান ঈশ্বর রূপেও প্রকাশ করতেন।
তাঁদের প্রতিটি বাক বা কথা হয়ে উঠতো বেদবাক্য ও অগ্নির শিখার ন্যায় উজ্জ্বল। ওঁ
শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।