[ বেদ যজ্ঞ করে জেনে
নাও সবকিছুকে ত্যাগ করা যায় কিন্তু সত্যকে ত্যাগ করা যায় না।]
যতই রাজনীতির খেলাই চলুক না কেন ভাওতা দিয়ে তাকে কেউ চিরস্থায়ীভাবে
প্রতিষ্ঠিত করা যায় না। যতদিন না মহাকাশের মহানীতি, প্রকৃতির সাম্যনীতি সমাজে আবার
সুপ্রতিষ্ঠিত না হবে ততদিন পর্যন্ত দলে থাকবে দলাদলি, মতে থাকবে সংকীর্ণতা, আর পদে
থাকবে লোভ। কারণ এগুলো সবই মিথ্যা বিষয় ও বস্তুর জ্ঞান দিয়ে সেগুলির মুনাফা লোটার
জন্যে তৈরী। তাই ক্রমে ক্রমে সবাই ছন্নছাড়া হয়ে যাবে। নিজেদের মধ্যে বিবাদ বিচ্ছেদ
তো লেগেই থাকবে—সেই সাথে যার যার দল নিয়ে, পদ নিয়ে, ভাগ নিয়ে মারামারি করতে করতে
আস্তে আস্তে সবাই সরে যাবে এই সব দল ও নেতার পাশ থেকে। আবার নূতন কোন দলের হাতে
ক্ষমতা চলে যাবে। ক্ষমতা হস্তগত করা নিয়ে হানাহানি, মারামারি, কাটাকাটি তো
থাকবেই, এমনকি নানারকম অবস্থায় ভুল ভ্রান্তিরও সৃষ্টি হতেই থাকবে। তারপরে যাদের
হাতে ক্ষমতা তারাই একদিন বুঝতে পারবে তাঁরা সত্যত্যাগী হয়ে নিজেও বিভ্রান্তির
মধ্যে নিমজ্জিত ছিলেন –সেই সাথে জনগণকেও মিথ্যা বিভ্রান্তির মধ্যে আবদ্ধ
রেখেছিলেন। এইভাবে পরিবর্তন হতে হতে ক্রমে ক্রমে সাম্যের সুর আবার প্রতিষ্ঠিত হবে।
তখন দেশে থাকবে এক জাতি, এক সুর, এক নীতি। সকল দলাদলি ও সম্প্রদায়ের ঊর্ধ্বে উঠে
সবাই তখন বেদের সাম্যের বন্দনা করবে। এটাই হবে বেদ যজ্ঞের সাফল্য বিশ্ববাসীর
জন্যে। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।