[ বেদ যজ্ঞ করে নিজের বুদ্ধি নির্মল করো ও সেই
বুদ্ধি সবার মঙ্গলের জন্যে লাগাও।]
মানুষ বুদ্ধিমান
জীব। প্রতি পদে পদে সে বুদ্ধি খাটিয়ে নিজের জীবনকে উজ্জ্বল করে তুলবে এটাই
স্বাভাবিক। কিন্তু বুদ্ধির বিকাশ ঘটাবে কোথায়? আজ মানুষ যে সমাজে এসে দাঁড়িয়েছে, এ
যে মেরুদণ্ডহীন সমাজ। একজন যুবক ত্রিশ বছর পর্যন্ত পুঁথির মধ্যে ডুবে থেকে যখন
কয়েকটা সার্টিফিকেট নিয়ে বেড়িয়ে আসছে, তখন সে চোখে মুখে অন্ধকার দেখছে। সকলের
দুয়ারে দুয়ারে ইন্টারভিউ দিতে দিতে সে ছন্নছাড়া লক্ষ্মীছাড়া হয়ে পড়ছে। কোথায় গেল
তার ত্রিশ বছরের শিক্ষার অভিজ্ঞতা? কোন রকমে যদি একটা কিছু ভাগ্যে জুটছে—সেখানে
গিয়েও সে হারিয়ে ফেলছে তার উজ্জ্বল চরিত্রে যেটুকু দৃঢ়তা ছিল সেটুকুও। সরকারের
দুর্বলতা – প্রশাসনের দুর্বলতা – রাজনৈতিক ধর্ষণ সর্বোপরি অর্থের প্রতি প্রলোভন
তার মনুষ্যত্বকে কেড়ে নিচ্ছে। তাই যার চোখে ছিল সূর্যের ন্যায় দীপ্তি সে অন্ধ সেজে
সবকিছুকে মেনে নিয়ে নিজেও একদিন অন্ধ হয়ে অন্ধকার জগতে প্রবেশ করছে, সেই জগতের
রাজা হবার জন্যে। এই অবস্থা থেকে মানুষকে মুক্ত করতেই হবে তাদের নির্মল বুদ্ধির
জগতে ফিরিয়ে এনে—তা না হলে দিন দিন সমস্যা বাড়তেই থাকবে--- এ সমস্যার সমাধান কোনদিন
সম্ভব হবে না। তাই যে যেখানে যে অবস্থায় আছো সেখানে সে অবস্থাতেই থেকে বেদ যজ্ঞ
শুরু করে নিজেদের বুদ্ধিকে সত্যের উপর স্থির করে নির্মল করো—আর সেই বুদ্ধিকে দেশ ও
দশের মঙ্গলের জন্যে নিয়োজিত করো—দেখবে ম্যাজিকের মতো দেশ ও দশের সব সমস্যার সমাধান
হয়ে যাবে। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।