[ বেদ যজ্ঞ করে আশ্রম কি তা জেনে নিয়ে তোমরা আশ্রমেই বসে বেদ যজ্ঞ কর।]
যেখানে পরমশান্তির আশ্রয় পাওয়া যায় তাই
আমাদের জীবনের আশ্রম। বাবা-মায়ের কোলে স্নেহের যে আশ্রয় সেই আশ্রমের কথা কেউ ভুলতে
পারে না—তাই সেটাই আমাদের জীবনের সবথেকে বড় আশ্রম। তারপরে আমরা কর্মযজ্ঞতে প্রবেশ
করি যে জ্ঞানকে আশ্রয় করে সেটাই হয়ে উঠে আমাদের আশ্রম। আমরা যা কিছু করছি সবই
ধরিত্রী মায়ের কোলে বসে তাঁর দেওয়া স্নেহ ও প্রেমভরা রস পান করে তাঁরই শক্তির উপর
ভর করে তাই আমাদের সবার শ্রেষ্ঠ আশ্রম হল এই ধরিত্রী মাতা। এই মায়ের কোলেও আমরা
চিরকাল থাকতে পারছি না – আমাদেরকে কিছুর উপর ভর করে কোথাও চলে যেতে হচ্ছে—কার উপর
ভর করে চলে যেতে হয় জীবকে ধরিত্রী মায়ের প্রেমভরা –স্নেহভালবাসা ছেড়ে --- তখনি আসে
আমাদের আত্মার কথা। কেন এই আত্মার কথা আসে? এর একটা মাত্র কারণ আমরা কেউ মরতে চাই
না--- স্রষ্টা আমাদের অন্তরের কথা জানেন অন্তর্যামী হয়ে—তাই তিনি আমাদের কথা শুনেই
আমাদের আশ্রয়স্থল গড়ে দিয়েছেন তাঁর মহাশূন্যময় জ্ঞান- বিজ্ঞানের ঘরকে--- যাকে আমরা
ওঁ কার পরমব্রহ্ম রূপে জানি। এটাই হচ্ছে আমাদের চিরস্থায়ী আশয়স্থল বা পরমাশ্রম।
এখান থেকেই আমাদেরকে যখন সেখানে প্রয়োজন হয় পরিভ্রমণ করতে হয়। আবার পরিভ্রমণ শেষে
সেই পরমাশ্রমে ফিরে গিয়ে কিছুকাল বিশ্রাম নিয়ে আবার পথচলা কিছু রোজগার ও সঞ্চয়ের
আশায়। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।