[ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে তোমরাও মহামুনি বেদব্যাসের আদর্শ পথ ধরে মানব
কল্যাণমুখী কর্মে জীবন উৎসর্গ কর।]
মহামুনি কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস দেখেছিলেন
স্বর্গের দেব-দেবী, নর্তক-নর্তকী,এমনকি অতি সাধারণ কর্মচারী, গাছ-পালা, পশু-পাখী ও
মর্ত্যের যোগী-মুনি- ঋষিবর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অধীনে থেকে তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ
হয়ে কেবল তাঁর জ্যোতিঃ বা অমৃত সুধা পান করে জীবন ধন্য করে মহানন্দে অমর হয়ে বিচরণ
করছেন জন্মমৃত্যুর ফাঁদ বা চক্র থেকে মুক্ত হয়ে। কিন্তু এই পৃথিবীর সাধারণ মানুষ
এই রহস্য না জানার জন্য তাঁর জ্যোতিঃ ভক্ষণ ও অমৃত সুধা পান করা থেকে চিরকাল
বঞ্চিত হয়েই আছেন। তাই যাতে সর্বসাধারণের জন্যে এই অমৃত সাগরের দ্বার খুলে দেওয়া
যায় তাঁর ব্যবস্থা করতে লাগলেন। সেই ব্যবস্থা স্বরূপ তিনি লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে
যোগবলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে মানব দেহে রূপ দিয়ে তাঁর লীলা জনসমক্ষে তুলে ধরতে শুরু
করলেন। এই অবতার সৃষ্টির মূলে ছিল মানব ধর্ম প্রচারের মাধ্যমে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
সর্বত্র রয়েছেন আদি- অনাদি- অনন্তকাল ধরে সেই তত্ত্ব জনগণকে জ্ঞাত করে, প্রত্যেককে
সজাগ- সচেতন করে তোলা। তিনি সকল মানব দেহের হৃদয় মন্দিরে পূর্ণ ব্রহ্ম রূপে
অধিষ্ঠান করছেন, তা জ্ঞাত করে মানব জাতিকে আত্মজ্ঞানে ভরপুর করে তোলা। এই রসের
সাগর সকল মানব দেহে পূর্ণ রূপে অধিষ্ঠান করছে, এই পরমসত্য জানিয়ে মানব জাতিকে
ঈশ্বরমুখী করে তুলে সারা বিশ্বে শান্তি –সাম্য- সত্য ও ঐক্যকে প্রতিষ্ঠা করে জীবের
কল্যাণ করা। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।