[বেদ যজ্ঞ করে জেনে নাও কেনো অন্ত্যোষ্টি ক্রিয়ার মাধ্যমে মৃতদেহকে অগ্নিতে
সমর্পিত করা হয়।]
অগ্নিতে যা আহুতি দেওয়া হয়, তা-ই আগুন হয়ে
যায় এবং তা সূর্যের দিকে উজিয়ে চলে। অতএব অগ্নিতে আত্মাহুতি দেওয়ার মাধ্যমে
সূর্যলোকে পৌঁছানোর পথ সকলেই করে নিতে পারেন বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে। আমরা অন্ত্যোষ্টি
ক্রিয়ার মাধ্যমে দেহকে অগ্নিতে সমর্পণ করি যাতে তাঁর জ্যোতির্ময় আত্মা অগ্নিবাহী
হয়ে সূর্যে সম্মিলিত হতে পারেন। এই সূর্যলোক হল ব্রহ্মলোকের দ্বারস্বরূপ। এখানে
এসেই আত্মবিদদের ব্রহ্মলোকে যাবার জন্যে যানে চাপতে হয়। যারা অনাত্মবিদ তাঁদের
জন্যে এই ব্রহ্মলোকে গমনের পথ রুদ্ধ থাকে। আমাদের দেহে ১০১ টি নাড়ী বাহক রূপে কাজ
করে অগ্নির সাহায্যে—প্রধান হচ্ছে ব্রহ্মনাড়ী। এই নাড়ীই অন্যান্য ১০০টি নাড়ীকে
বাহক রূপে পরিচালিত করছে—এই ব্রহ্মনাড়ী দেহের অগ্নিকে ধারণ করে রেখে প্রাণের
ক্রিয়া সঞ্চালন করেন ও সদায় ‘হংস’ ধ্বনি দ্বারা আত্মাকে মুক্ত করে ব্রহ্মশক্তির
সাথে যুক্ত রাখেন। যারা এই রহস্যবিদ্যার কথা জেনে ‘ওঁ’ উচ্চারণ পূর্বক দেহ ত্যাগ
করেন তাদের জন্যে ব্রহ্মলোকে গমনের দুয়ার খোলা থাকে সূর্যলোকে। ওঁ শান্তি শান্তি
শান্তি।