নারীচরিত্র[ স্ত্রী বা নারী চরিত্রকে জেনে তাদেরকে উন্নত করতে সত্যজ্ঞানের শিক্ষা দাও। তৃতীয় পর্যায় }

 ৩৩] স্বামী –স্ত্রীর মনোভাব এক না হলে। অশান্তি সৃষ্টি হয় সামান্য দোষ পেলে।।   সংসারে অশান্তি তাদের সদা লেগে থাকে। এ অশান্তির আগুন লাগে তাদের সন্তানকে।। ৩৪] সন্তানকে মানুষ করার লক্ষ্যে তারা না পৌঁছায়। সন্তান- সন্ততি তখন হয়ে পড়ে অসহায়।।   অমানুষ হয় তারা পিতা-মাতার ভুলে। সেই অশুভ ছায়া পড়ে তাদের কুলে ও মূলে।। ৩৫] রূপবতী স্ত্রীর মোহে অজ্ঞানীরা নিমজ্জিত হয়। তারা জানেনা সে রূপের আগুন কত ভয়ংকর হয়।।    রক্ত মাংস হাড় মজ্জা ও ইন্দ্রিয় তাদেরও দেহে আছে। অতিরিক্ত কোন সুখ তাদের দেহ-মনে কি রয়েছে।। ৩৬] আগুনে ঝাঁপ দিতে যায় পতঙ্গের দল। যৌবন পেলেই পুরুষ ভাবে নারীই সম্বল।।    ওত পেতে বসে থাকে তাদের মনে রূপবতীর দল। ওষ্ঠাধারে মিষ্টি হাসি তাদের করে তুলে পাগল।। ৩৭] স্ত্রীকে পরমেশ্বর থেকেও অধিক শক্তিশালী জানবে। তার ভার বহন করার ক্ষমতা বিচার করে দেখবে।।    যত দেব-দেবী –মহামানবের জন্ম তারাই দিয়েছে। পৃথিবী স্ত্রী হয়েই সমস্ত ভার বহন করে চলেছে।। ৩৮] ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভার স্ত্রী বহন করেছিল। হজরত মুহাম্মদকে তারাই জন্ম দিয়েছিল।।   বুদ্ধদেবকে মায়াদেবী এনেছিল ডেকে। যিশুখ্রিস্ট  এসেছিল মা মেরীর ডাকে।। ৩৯] মানুষের সংসার দেখবে মোহজালে ঘেরা। স্ত্রী –পুরুষ এক আত্মা জানবে কারা।।   একমাত্র ঈশ্বর ভক্ত জ্ঞান লাভ করে। মোহজাল ছিন্ন করে মুক্ত হতে পারে।। ৪০] তাই রূপের উপাসনা না করে গুণের পূজা করো। স্ত্রীকেও সেই জ্ঞান দিয়ে পথ দেখাতে পারো।।   সুসন্তানের জন্ম দেওয়ার জ্ঞান লাভ করে। তবেই পিতা-মাতা হতে যাবে সে পথ ধরে।। ৪১] স্ত্রীর প্রেম- প্রীতি ভালবাসা মজবুত বন্ধন। তাকে ঘিরেই সংসার করে আবর্তন।।  বিবেকহীন পুরুষ হলে এর মর্যাদা না বুঝে। তাই সংসারের চাকা বন্ধ হয় মাঝে মাঝে।। ৪২] স্ত্রীর প্রেম- প্রীতি ভালবাসা যদি শুকনো হয়। সহজেই সেই ভালবাসায় আগুন ধরে যায়।।   সে আগুন নিবে না আর জল ঢাললে। বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাদের জ্ঞানের মূলে।। ৪৩] এ অবস্থায় যদি গর্ভে সন্তান আসে। সে সন্তান থাকেনা কভু পিতামাতার বশে।   রুগ্ন প্রকৃতির হয়ে তারা মানসিক বিকার গ্রস্থ হবে। যত অন্যায় অপকর্ম তারা করতে যাবে।।


যেমন পথ ধরে যাবে তেমন সৌগন্ধ জীবনে লাভ করবে।

পৃথিবীতে মানুষ হয়ে এসেছো। তোমাকে যে কোনো একটা পথ ধরে চলতে হবে। পৃথিবী যেমন নিজের অক্ষরেখার উপর চলছে থেমে নেই – তেমনি তোমার জীবন চলছে – সেও থেমে নেই। কবে চলা শুরু করেছো, তা জানো না, কবে চলা শেষ হবে তাও জানো না। চলতে চলতে কত কী দেখছো, কত ফুলের সৌগন্ধ গ্রহণ করছো, কিছু স্মৃতিতে থাকে –কিছু ভুলে যাও। কেন ভুলে যাচ্ছো? জীবন তো ভুলে যাবার জন্য নয়। ভুলে যাবার মূল কারণ তোমাদেরকে ভোলাতে ধরেছে এবং ভুল পথে চলতে শুরু করেছো। যে পথে তোমরা চলেছো সেই পথে গোলাপের বাগান নেই। নেই কোনো ঝর্না, নেই কোনো বাগান, নেই কোনো পাখির কলতান। এই পথে কেবল শূকনো মরুভুমি অ মরুভূমির উপর খেলা করছে মরীচিকা। নেই কোনও ফুলের সৌরভ। আছে শুধু মরা-পচার গন্ধ। শয়তান তোমাদেরকে মরীচিকা দেখিয়ে স্বপ্ন দেখচ্ছে স্বর্গে নিয়ে যাবার। শয়তান কোনোদিন গোলাপ ফুলের সৌগন্ধ গ্রহণ করে না—সে পচা মদের গন্ধকে গোলাপের সৌগন্ধের সাথে তুলনা করে এবং তোমাদের প্রলোভন দেখায় স্বর্গ উদ্যানের। শয়তানের দেখানো পথ ছেড়ে যখনি তোমরা ঈশ্বরের দেখানো পথে চলতে শুরু করবে, তখনি দেখতে পাবে সেই কত সাজানো রয়েছে ফল,ফুলের বাগান, কত ঝর্ণা, কত খোলা আকাশ,বাতাস, কত রঙবেরঙের পাখি খেলা করছে, গান করছে আকাশে বাতাসে। তোমার প্রাণ-মন জীবন আনন্দে ও সৌগন্ধে ভরে উঠবে, সেই পথে চলতে চলতে। কোনো ভ্রান্তি বা মরীচিকার কবলে তোমাকে পড়তে হবে না এই পথে। পথে শুকিয়ে যাবারও ভয় থাকবে না তোমার, কারণ তুমি নদী হয়ে সাগরের সাথে যুক্ত। যে নদী সাগরের সাথে যুক্ত হবার সৌভাগ্য লাভ করে, সেই নদী কোনোদিন জীবন স্রোত হারায় না। সেই নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে কত নগর, কত সভ্যতা। তোমরা বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী—তোমরা প্রাণবন্ত এক-একটা নদী। তোমাদেরকে ঘিরে গড়ে উঠবে কত নগর সভ্যতা তা কি তোমরা জানো না?




BISWA MANAB SIKSHA